তুরস্কে ধসে পড়া ভবন নির্মাণে জড়িত ১১৩ জনকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা
ভূমিকম্পে তুরস্কে ধসে পড়া ভবনগুলো নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ১১৩ জনকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এরই মধ্যে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে ভবন নির্মাণ ঠিকাদারেরাও রয়েছেন। গ্রেপ্তারের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত সোমবার তুরস্ক ও সিরিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ২৯ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। জাতিসংঘের জরুরি ত্রাণবিষয়ক সমন্বয়কের ধারণা, এই সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি হবে। অপর দিকে দুই দেশে ভূমিকম্পে ধসে পড়েছে হাজার হাজার বাড়ি। এর মধ্যে নতুন ভবনও রয়েছে।
তুরস্কের ভবন নির্মাণের জন্য নিরাপত্তসংক্রান্ত কঠোর আইন রয়েছে। তবে ব্যাপক দুর্নীতি ও সরকারের কিছু নিয়মনীতির কারণে অনেক ভবনই ওই আইন মেনে নির্মাণ করা হয় না। নতুন নির্মাণ করা ভবনগুলোও যে নিরাপদ নয়, তা নিয়ে বহু বছর ধরে সতর্ক করে আসছিলেন বিশেষজ্ঞরা।
তুরস্ক সরকারের একটি নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ভবন আইন না মেনে তৈরির পরও জরিমানা দিয়ে ক্ষমা পাওয়া যাবে। তুরস্কের নির্মাণ খাতে গতি আনতে এই নিয়ম করেছিল দেশটির সরকার। সোমবার যেসব অঞ্চলে ভূমিকম্প হয়েছে, সেখানেও আইন না মেনে তৈরি বহু ভবন এই ক্ষমার সুযোগ পেয়েছিল।
এদিকে ভূমিকম্প আঘাত হানার ষষ্ঠ দিনে তুরস্ক ও সিরিয়ার পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে গড়াচ্ছে। গতকাল শনিবার তুরস্কের হাতায় প্রদেশে কয়েকটি দলের মধ্যে সংঘর্ষ হওয়ায় উদ্ধারকাজ সাময়িকভাবে থামিয়ে দিতে হয়েছিল জার্মানি ও অস্ট্রিয়ার উদ্ধারকারীদের। পরে অবশ্য তুরস্কের সেনাবাহিনীর নিরাপত্তায় উদ্ধারকাজ আবার শুরু হয়েছিল।
এই উদ্ধারকারীদের একজনের ভাষ্য, খাদ্যের সরবরাহ কমে এসেছে। এতে নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও নাজুক হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্প উপদ্রুত এলাকাগুলোতে আট লাখের বেশি মানুষ পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবারের সংকটে রয়েছেন।