দক্ষিণ কোরিয়ায় অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অভিযোগ

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। সিউলে সাংবিধানিক আদালতে, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ছবি : রয়টার্স

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল সামরিক আইন জারি করার মধ্য দিয়ে বিদ্রোহ করেছেন, এমন অভিযোগ এনেছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরা। এই প্রথম দেশটির ইতিহাসে ক্ষমতাসীন কোনো প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিযুক্ত হতে যাচ্ছেন।

গত ৩ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করেছিলেন ইউন। কিন্তু তীব্র প্রতিবাদ-প্রতিরোধের মুখে মাত্র ছয় ঘণ্টার মাথায় তিনি তা প্রত্যাহারে বাধ্য হন।

স্বল্পস্থায়ী এই সামরিক আইন জারির জেরে ১৪ ডিসেম্বর ইউনকে দেশটির পার্লামেন্টে অভিশংসন করা হয়। প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব থেকে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। গত সপ্তাহে তিনি গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে রয়েছেন।

আরও পড়ুন

ইউনকে গ্রেপ্তারে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের প্রচেষ্টা প্রাথমিকভাবে রুখে দেন প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা বাহিনীর (প্রেসিডেনশিয়াল সিকিউরিটি সার্ভিস-পিএসএস) সদস্যরা। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। যদিও ইউন দাবি করেছেন, তিনি কোনো ভুল করেননি।

এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে একবার ইউনকে গ্রেপ্তারের জন্য তাঁর বাড়িতে কয়েক ঘণ্টার অভিযান চালান তদন্তকারী কর্মকর্তারা। তবে তাঁর নিরাপত্তা বাহিনীর বাধায় সেই অভিযান ব্যর্থ হয়। দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা যায়।

দোষী সাব্যস্ত হলে ইউনের আজীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। তবে গত কয়েক দশকে দেশটিতে কোনো মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়নি।

আরও পড়ুন

সবাইকে হতবাক করে দিয়ে গত ৩ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করেছিলেন ইউন। কিন্তু তীব্র প্রতিবাদ-প্রতিরোধের মুখে মাত্র ছয় ঘণ্টার মাথায় তিনি তা প্রত্যাহারে বাধ্য হন।

স্বল্পস্থায়ী এই সামরিক আইন জারির জেরে ১৪ ডিসেম্বর ইউনকে দেশটির পার্লামেন্টে অভিশংসন করা হয়। প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব থেকে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। গত ১৫ জানুয়ারি তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন