উত্তর কোরিয়ার নতুন সাবমেরিন উদ্বোধন, আছে পারমাণবিক হামলার ক্ষমতা
উত্তর কোরিয়া প্রথমবারের মতো স্বল্পপাল্লার পারমাণবিক হামলার ক্ষমতাসম্পন্ন সাবমেরিনের উদ্বোধন করেছে। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএর খবরে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার নৌবাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানোর অংশ হিসেবে এই সাবমেরিন তৈরি করা হয়েছে।
বুধবার উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং–উন সাবমেরিন উদ্বোধন অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, সাবমেরিনটির পাশে দাঁড়িয়ে সাদা পোশাকের নাবিকদের সঙ্গে কথা বলছেন কিম। তাঁর গায়ে একটি হালকা ধরনের স্যুট, মাথায় হ্যাট। সাবমেরিনটির অগ্রভাগ উত্তর কোরিয়ার পতাকা দিয়ে সাজানো।
নতুন সাবমেরিনটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘হিরো কিম কুন ওক’। উত্তর কোরিয়ার দাবি, এর মধ্য দিয়ে দেশটির নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে।
কিম জং–উন বলেন, পানির তলদেশে গুরুত্বপূর্ণ অভিযান চালাতে উত্তর কোরিয়ার নৌবাহিনী এ সাবমেরিন ব্যবহার করতে পারবে।
কিম বলেন, উত্তর কোরিয়ার কাছে এখন যে সাবমেরিনগুলো আছে, সেগুলোকেও ক্রমান্বয়ে পারমাণবিক অস্ত্রসজ্জিত করা হবে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার কেসিএনএর প্রতিবেদনে বলা হয়, কিম জং–উন সাবমেরিনটি দেখতে গিয়েছিলেন। তিনি এর ভেতর ঢুকেছেন এবং এর সক্ষমতা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বক্তব্য শুনেছেন।
চলতি বছর উত্তর কোরিয়া রেকর্ডসংখ্যক অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। গত মাসে তাঁরা দ্বিতীয়বারের মতো কক্ষপথে একটি নজরদারিমূলক কৃত্রিম উপগ্রহ স্থাপন করতে চেয়েছিল। তবে দ্বিতীয়বারেও তারা ব্যর্থ হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান নিউক্লিয়ার থ্রেট ইনিশিয়েটিভের (এনটিআই) তথ্যানুযায়ী, উত্তর কোরিয়ার কাছে ৬৪ থেকে ৮৪টি সাবমেরিন আছে। তবে এগুলো পুরোনো হওয়ায় সব কটি সাবমেরিন সক্রিয় আছে কি না, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা সন্দেহ প্রকাশ করে থাকেন।
এদিকে উত্তর কোরিয়ার নতুন সাবমেরিন উদ্বোধনের খবরে নিন্দা জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। তারা বলছে, জনগণের দুঃখ-কষ্টের কথা চিন্তা না করে উত্তর কোরিয়া নিরর্থক সম্পদ নষ্ট করছে।