তাইওয়ানে এক ব্যক্তি আদালতে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেছেন। এতে তিনি বলেন, তাঁর স্ত্রী তাঁর সঙ্গে ঘুমাতে চান না। তিনি স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে চাইলে স্ত্রী তাঁর কাছে বিনিময়ে অর্থ দাবি করেন।
আদালত ওই ব্যক্তির অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে নিশ্চিত হওয়ার পর বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন মঞ্জুর করেছেন বলে জানিয়েছে তাইওয়ানের টেলিভিশন স্টেশন এসইটিএন।
ওই ব্যক্তির নাম হাও (ছদ্মনাম) এবং স্ত্রীর নাম জুয়ান (ছদ্মনাম)।
হাও ও জুয়ান ২০১৪ সালে বিয়ে করেন। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে। আদালতে হাও বলেন, ২০১৭ সাল থেকে স্ত্রী তাঁর সঙ্গে মাসে একবারের বেশি শারীরিক সম্পর্ক করতে চান না। ২০১৯ সাল থেকে জুয়ান কোনো কারণ না বলেই স্বামীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক পুরোপুরি বন্ধ করে দেন।
তবে আত্মীয়স্বজনদের কাছে জুয়ান বলে বেড়ান, হাও ‘অতিরিক্ত মোটা’ এবং ‘দৈহিক সম্পর্কে অক্ষম’।
রাগে, ক্ষোভে ২০২১ সালে হাও স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। অবশ্য তখন জুয়ান বিবাহিত সম্পর্ক আবার ঠিকঠাক করার চেষ্টা করার প্রতিশ্রুতি দেন। তাই হাও আবেদন তুলে নেন এবং স্ত্রীর নামে তাঁদের কিছু সম্পদ লিখে দেন।
তারপরও জুয়ান তাঁকে মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকেন বলে অভিযোগ করেন হাও। তাঁরা দুই বছর একে অন্যের সঙ্গে কথা বলেননি। ওই সময়ে মেসেজিং অ্যাপে তাঁরা শুধু খুব দরকারি কথা সারতেন।
এ দম্পতি এমনকি কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে নিজেদের সংসারজীবন টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু পারেননি।
বিচারক হাওয়ের বিচ্ছেদের আবেদন গ্রহণ করেছেন। কারণ, তাঁদের সম্পর্ক ‘একেবারে শীতল হয়ে পড়েছিল এবং এটা ঠিক হওয়া প্রায় অসম্ভব ছিল’।
তবে এত কিছুর পরও বিচ্ছেদ চাননি জুয়ান। তাই তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করেছিলেন। কিন্তু সেখানে তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যায়।
তাইওয়ানে এ ধরনের ঘটনা আরও ঘটছে।