ইরানের বিমানবন্দরে ৬৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা অনুভূত
প্রচণ্ড দাবদাহে পুড়ছে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল। জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে দেশে দেশে তাপমাত্রা রেকর্ড ছাড়িয়েছে। দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। এই ধারাবাহিকতায় ইরানের একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাপমাত্রা ৬৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি অনুভূত হয়েছে।
ঘটনাটি গত রোববারের। ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় বুশেহর প্রদেশে অবস্থিত পার্সিয়ান গালফ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের। ওই দিন গরমের সূচকে (হিট ইনডেক্সে) সেখানে তাপমাত্রা অনুভূত হয় ১৫২ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৬৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইউএস স্ট্রমওয়াচের আবহাওয়াবিদ কেভিন ম্যাককার্থি গতকাল সোমবার তাঁর ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্টে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
টুইটে কেভিন ম্যাককার্থি লেখেন, রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় পার্সিয়ান গালফ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় তাপমাত্রা অনুভূত হয় ৬৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটা মানুষ ও প্রাণীর জন্য অসহনীয় পরিস্থিতি।
শীতল কিংবা উষ্ণ তাপমাত্রা কতটা অনুভূত হচ্ছে, তা পরিমাপ করতে আবহাওয়াবিদেরা বাতাসের তাপমাত্রা ও অন্যান্য এককের বিভিন্ন সমীকরণ ব্যবহার করেন। গরম কতটা অনুভূত হচ্ছে, তা পরিমাপের ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহৃত একটি পদ্ধতি হলো গরমের সূচক। এতে বাতাসের তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার সন্নিবেশ করা হয়। এর ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় কতটা গরম অনুভূত হচ্ছে, সহজে সেটা বোঝা যায়।
কেভিন ম্যাককার্থি যে সময়ের কথা বলেছেন, অর্থাৎ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ইরানের পার্সিয়ান গালফ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৬৫ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ) জানিয়েছে, এই তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার সংমিশ্রণে ৬৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস গরম অনুভূত হয়।
এদিকে জলবায়ু পরিবর্তনসহ মানবসৃষ্ট নানা কারণে বাড়ছে পৃথিবীর তাপমাত্রা। এরই মধ্যে গত জুন ছিল ১৭৪ বছরের মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণতম মাস। গত মাসে বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রা মাসটির আগের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার চেয়ে শূন্য দশমিক ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল বলে জানিয়েছে এনওএএ।