পারমাণবিক হামলা চালানোর প্রস্তুতির নির্দেশ কিমের

কৌশলগত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা তত্ত্বাবধান করছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। কোরীয় উপদ্বীপের পশ্চিম উপকূলে, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ছবি: রয়টার্স

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন দেশটির কৌশলগত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা তত্ত্বাবধান করেছেন এবং পারমাণবিক হামলা চালানোর পূর্ণ প্রস্তুতি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এই ধরনের প্রস্তুতি দেশটির প্রতিরক্ষাকে কার্যকরভাবে নিশ্চিত করবে। শুক্রবার কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) এই খবর জানিয়েছে।

‘শত্রুদের’ সতর্কবার্তা দিতে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানো হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে কেসিএনএর প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, এসব শত্রু উত্তর কোরিয়ার নিরাপত্তার পরিবেশ গুরুতরভাবে বিঘ্নিত করছে। তারা সংঘাতের পরিবেশকে লালন করছে এবং উসকে দিচ্ছে।

কিমকে উদ্ধৃত করে কেসিএনএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘শক্তিশালী হামলার সক্ষমতার দ্বারা যা নিশ্চিত করা হয়, তাই সবচেয়ে নিখুঁত প্রতিরোধ ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতা।’

কিম বলেন, ‘এটা [শত্রুর ওপর হামলার প্রস্তুতি] একটি দায়বদ্ধ কাজ। নির্ভরযোগ্য পারমাণবিক ঢাল দিয়ে জাতীয় সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তা স্থায়ীভাবে রক্ষা করা গণতান্ত্রিক গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়ার (ডিপিআরকে) পারমাণবিক সশস্ত্র বাহিনীর দায়িত্ব।

কেসিএনএর তথ্যমতে, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানো হয়েছে গত বুধবার। কোরীয় উপদ্বীপের পশ্চিম উপকূলে এই পরীক্ষা চালানো হয়।

ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় লক্ষ্যবস্তু হিসেবে নির্ধারিত একটি ভবনে আঘাতের দৃশ্য। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ছবি: রয়টার্স

শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, বুধবার তারা ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের প্রস্তুতির লক্ষণ শনাক্ত করেছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে সাগরে তারা বেশ কিছু ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ লক্ষ্য করেছে।

বেশ কয়েক বছর ধরে কৌশলগত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করতে চেষ্টা করছে উত্তর কোরিয়া। এসব ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে তারা পারমাণবিক ওয়ারহেড উৎক্ষেপণ করতে চায়।

উত্তর কোরিয়ার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ নিয়ে প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান বা যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় দেশগুলো এতটা উদ্বেগ প্রকাশ করে না। তবে দেশটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করলে আন্তর্জাতিক মহল তীব্র নিন্দা জানায়।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ উত্তর কোরিয়ার ওপর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো এবং পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি নিষিদ্ধ করেছে। এসব নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করায় দেশটির ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে জাতিসংঘ।