কৃশকায় হলে রেস্তোরাঁয় মূল্যছাড়

১৫ শতাংশের মূল্যছাড়ের ফটক দিয়ে প্রবেশের পর বের হচ্ছেন এক নারী। থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই ব্রেকফাস্ট ওয়ার্ল্ড রেস্তোরাঁয়ছবি: ইনস্টাগ্রামের ভিডিও থেকে

ভোজনরসিকদের টানতে নানা কৌশলের আশ্রয় নেয় রেস্তোরাঁগুলো। থাইল্যান্ডের একটি রেস্তোরাঁও নিয়েছে অভিনব কৌশল। তারা গ্রাহক কতটা কৃশকায়, তার ওপর মূল্যছাড় দিচ্ছে। এ জন্য রেস্তোরাঁয় ঢোকার মুখে রাখা হয়েছে জানালার মতো করে গ্রিল দিয়ে ফ্রেম। তবে সেই গ্রিলগুলোর মধ্যকার ফাঁকা জায়গা একেকটির একেক রকম। সেই গ্রিলের যত ছোট ফাঁকা গলে যে গ্রাহক রেস্তোরাঁয় যেতে পারবেন, তাঁর জন্য তত বেশি মূল্যছাড়।

উত্তর থাইল্যান্ডের এই রেস্তোরাঁর নাম চিয়াং মাই ব্রেকফাস্ট ওয়ার্ল্ড। প্রাতরাশের জন্য এটি বিখ্যাত। এতে বিশ্বমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। এই অভিনব মূল্যছাড় নিয়ে নানা হাস্যরসের পাশাপাশি সমালোচনাও হচ্ছে।

রেস্তোরাঁটির ফটকে গ্রিলের সবচেয়ে ছোট ফাঁকা গলে যিনি উতরে যাবেন, তিনি সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ মূল্যছাড় পাবেন। পরের ফাঁকাটি আরেকটু প্রশস্ত। সেটা দিয়ে যেতে পারলে পাবেন ১৫ শতাংশ মূল্যছাড়। এভাবে যথাক্রমে ১০ ও ৫ শতাংশের আরও দুটি ক্যাটাগরি আছে। আর গ্রিলের এসব ফটক দিয়ে কেউ ঢুকতে না পারলে তাঁকে নিয়মিত ফটক দিয়ে ঢুকে নির্ধারিত দামে খাবার খেতে হবে।

রেস্তোরাঁয় প্রবেশ করতে গিয়ে আমিনা নামের এক নারী ও অ্যালেক্স নামের এক পুরুষকে বেশ ঝামেলায় পড়তে হয়। তাঁদের সেই ভিডিও ইনস্টাগ্রামে ছড়িয়ে পড়লে নেটিজেনরা রেস্তোরাঁর এ উদ্যোগের পক্ষে-বিপক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন।

অনেকে মূল্যছাড়ের ব্যতিক্রমী এ পদ্ধতিকে স্রেফ মজা হিসেবে দেখছেন। অনেকে আবার সেটাকে গুরুত্বসহকারে নিয়েছেন। তাঁদের মতে, মজার ছলে এখানে মানুষকে তাঁর শারীরিক আকৃতি নিয়ে ছোট করা হচ্ছে। সমাজে এর খারাপ প্রভাব পড়ছে।

ইনস্টাগ্রামে ছড়িয়ে পড়া সেই ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি ২০ শতাংশ মূল্যছাড়ের ফটক দিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। তাঁর উদ্দেশে এক ব্যক্তি মন্তব্য করেন, ‘আপনার কিছুটা মাখন দরকার।’ এরপর তিনি ১০ শতাংশ মূল্যছাড়ের ফটক দিয়ে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। অবশেষে তিনি ৫ শতাংশের ক্যাটাগরি দিয়ে প্রবেশ করেন।