ঘূর্ণিঝড় মোখায় মিয়ানমারে নিহত বেড়ে ১৪৫
ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে মিয়ানমারে নিহত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ১৪৫-এ দাঁড়িয়েছে। আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির জান্তা সরকার। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে রোহিঙ্গাদের সংখ্যাই বেশি।
গত রোববার ১৯৫ কিলোমিটার গতিতে উপকূলে আছড়ে পড়ে মোখা। মূল আঘাত হানে মিয়ানমারে। দেশটিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে ঘরবাড়ি। জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে গেছে অনেক এলাকা।
মিয়ানমারে মোখায় ক্ষয়ক্ষতি হওয়া অঞ্চলগুলোর মধ্যে রয়েছে রাখাইন রাজ্য। সেখানে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বসবাস। রাখাইনে মোখার আঘাতে তছনছ হয়ে গেছে অনেক গ্রাম। গাছপালা ভেঙে পড়েছে। যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অনেক এলাকা।
ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানি নিয়ে মিয়ানমারের জান্তা কর্তৃপক্ষ বিবৃতিতে জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ে সব মিলিয়ে ১৪৫ জন নিহত হয়েছে। তার মধ্যে ৪ জন সেনাসদস্য, ২৪ জন স্থানীয় বাসিন্দা ও ১১৭ জন রোহিঙ্গা রয়েছেন।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করা হয় না। স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত তারা। এমনকি নিজ এলাকার বাইরে যেতে হলেও কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আলাদা অনুমতি নিতে হয় তাদের।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখায় ৪০০ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তবে এসব খবর মিথ্যা বলে দাবি করেছে মিয়ানমার সরকার। বিবৃতি তারা বলেছে, এমন খবর প্রকাশ করা সংবাদমাধ্যমগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে রোহিঙ্গাদের একটি গ্রামের এক নেতা জানিয়েছিলেন, ঘূর্ণিঝড়ের পর থেকে শুধু তাঁর গ্রামেই শতাধিক লোক নিখোঁজ রয়েছে। অন্যদিকে রাখাইনের রাজধানী সিটুয়ের কাছে এক এলাকার আরেক রোহিঙ্গা নেতা বলেছিলেন, সেখানে অন্তত ১০৫ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
২০০৮ সালের ঘূর্ণিঝড় নার্গিসের আঘাতে মিয়ানমারে ইরাবতী নদীর ডেলটার আশপাশের জনবহুল এলাকাগুলো ধ্বংস হয়। এতে অন্তত ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ মারা যায়। কয়েক হাজার বাড়িঘর ও অন্যান্য স্থাপনা পানিতে ভেসে যায়।