মিয়ানমারের জান্তা সরকারকে সহিংসতা বন্ধ এবং বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন অবসানের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে দেশটির সেনাবাহিনীকেই প্রথম পদক্ষেপ নিতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার দেশটির ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের সঙ্গে বৈঠককালে এ আহ্বান জানান বান কি মুন।
বর্তমানে মিয়ানমারে সফরে রয়েছেন জাতিসংঘের এই সাবেক মহাসচিব। তিনি মিয়ানমারের সংস্কারবাদী সাবেক প্রেসিডেন্ট থিয়েন সেইনের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। পর্যবেক্ষক মহলে সহিংসতাকবলিত মিয়ানমারে মুনের এ সফরকে শান্তি প্রতিষ্ঠার মিশন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত অং সান সু চির সরকার হটিয়ে ক্ষমতায় আসে জান্তা সরকার। এর ফলে সৃষ্ট সংকটের অবসানের লক্ষ্যে যেসব কূটনৈতিক প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে, তা স্থবির হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে ভিন্নমতের ওপর নৃশংস দমন-পীড়নের কারণে আন্তর্জাতিক সমালোচনাও জান্তা সরকার উপেক্ষা করে চলেছে। এ ছাড়া বিরোধীদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনায় বসতেও অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে জান্তা সরকার।
বান কি মুন জান্তা সরকারকে সতর্ক করে বলেন, মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন করা হলে তা আরও সহিংসতা ও বিভক্তির ঝুঁকি তৈরি করবে।
তা ছাড়া মিয়ানমারের জনগণ, আসিয়ান ও বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ওই ভোটের ফলাফলের স্বীকৃতি দেবে না। গত ফেব্রুয়ারিতে মিন অং হ্লাইং বলেছিলেন, ‘জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী’ বহুদলীয় নির্বাচন অবশ্যই হবে। তবে এ নির্বাচন কবে হবে, তার কোনো সময়সীমা উল্লেখ করেননি তিনি।