বানরের ‘হানায়’ শ্রীলঙ্কায় বিদ্যুৎ বিপর্যয় নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে যত আলোচনা

বানরপ্রতীকী ছবি: এএফপি

একটি বানর, আর সেটিকে ঘিরে তোলপাড় পুরো শ্রীলঙ্কায়। গতকাল রোববার দেশটির একটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে ‘হানা’ দেয় একটি বানর। তাতেই পুরো শ্রীলঙ্কায় বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দেয়। দেশজুড়ে বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎ সরবরাহ।

এ ঘটনায় আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানান শ্রীলঙ্কার জ্বালানিমন্ত্রী কুমারা জয়াকোদি। ঘটনাটি মুহূর্তের মধ্যেই শোরগোল ফেলে দেয় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ঘটনাটি নিয়ে ব্যঙ্গ ও সমালোচনা করা হচ্ছে।

গতকাল রোববার স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। রাজধানী কলম্বোর দক্ষিণে একটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে ‘হানা’ দেয় একটি বানর। এতে পুরো দেশে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা যায়।

স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা জানান, বিদ্যুৎ সরবরাহ আবার চালু করতে কয়েক ঘণ্টা সময় লেগে যেতে পারে।

দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য কলম্বো পোস্ট জানায়, পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা পর থেকে বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিকভাবে বিদ্যুৎ–সংযোগ স্বাভাবিক হতে শুরু করে। সে ক্ষেত্রে দেশটির স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান আর পানি পরিশোধন কেন্দ্রগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।

প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে শ্রীলঙ্কার জ্বালানিমন্ত্রী কুমারা জয়াকোদি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের বিদ্যুৎ সরবরাহের ট্রান্সফরমারের সংস্পর্শে আসে একটি বানর। এতে বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থা ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে।’

ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যঙ্গ করা হচ্ছে। কেউ কেউ কর্তৃপক্ষের সমালোচনাও করছেন।

এক্স পোস্টে মারিও নাওফেল নামের একজন লেখেন, ‘কলম্বোয় একটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে বিপর্যয় সৃষ্টির পর পাজি বানরটি দেশের পুরো গ্রিডে ধস নামিয়েছে।’ তিনি আরও লেখেন, ‘একটি বানর পূর্ণাঙ্গ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। অবকাঠামো নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে?’

শ্রীনি আর নামের আরেকজন ব্যবহারকারী এক্সে লেখেন, ‘অতীতে বানরের ব্যবসার অভিজ্ঞতা রয়েছে শ্রীলঙ্কার।’ পোস্টে তিনি একটি হনুমানের ছবিও যুক্ত করে দেন।

স্থানীয় পত্রিকা ডেইলি মিররের প্রধান সম্পাদক জামিলা হুসেইন বলেন, ‘বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভেতরে বানরের দলের লড়াই হওয়ায় পুরো দ্বীপে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা শুধু শ্রীলঙ্কাতেই ঘটতে পারে।’

আরও পড়ুন

আজ সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ডেইলি মিরর বলছে, প্রকৌশলীরা ‘বছরের পর বছর ধরে’ সরকারগুলোকে বিদ্যুৎ গ্রিড হালনাগাদ করার জন্য সতর্ক করে আসছেন। এমনটা করা না হলে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের আশঙ্কা তাঁদের।

এর আগে ২০২২ সালে অর্থনৈতিক সংকট চলার সময় শ্রীলঙ্কায় ব্যাপক পরিসরে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা গিয়েছিল।