তুরস্কের প্রাচীন শহরে মাটির নিচে স্বর্ণমুদ্রা

তুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলের নোশন শহরছবি: মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

তুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলের নোশন শহর। ৮০ একর জমির ওপর গড়ে ওঠা শহরটি এককালে খুবই সুরক্ষিত ছিল। সে হাজারো বছর আগের কথা। তখন শহরটি দখল করে রেখেছিলেন প্রাচীন গ্রিসের সম্রাটরা। এখন শহরটির শুধু ধ্বংসাবশেষই রয়েছে। সেখানে খোঁড়াখুঁড়ি করে মিলেছে স্বর্ণমুদ্রাভর্তি একটি পাত্র। প্রায় ২ হাজার ৫০০ বছর ধরে সেগুলো মাটির নিচে লুকানো ছিল।

নোশন শহরে এই প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের খোঁজ পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, খ্রিষ্টপূর্ব ৬০০ থেকে ১০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত নোশন শহর দখল করে রেখেছিল গ্রিকরা। এরই মধ্যে খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০ খ্রিষ্টাব্দে একটি বাড়ির মেঝের নিচে হয়তো ইচ্ছা করেই ওই স্বর্ণমুদ্রা লুকিয়ে রেখেছিলেন কোনো ভাড়াটে সেনা। ওই সময়টাতে খুবই যুদ্ধবিগ্রহ চলছিল।

মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও নোশন প্রত্নতত্ত্ব প্রকল্পের পরিচালক ড. ক্রিস্টোফার রাটের ভাষ্যমতে, প্রত্নতাত্ত্বিক খননের সময় এমন মূল্যবান জিনিস খুঁজে পাওয়াটা খুবই বিরল। কেউ মুদ্রার ভান্ডার এভাবে পুঁতে রাখে না—বিশেষ করে যদি সেগুলো মূল্যবান ধাতুর হয়, আর পরে তুলে নেওয়ার ইচ্ছে না থাকে। তাই ধারণা করা যায়, স্বর্ণমুদ্রাগুলোর মালিকের সঙ্গে খুবই খারাপ কিছু ঘটেছিল।

নোশন শহরে প্রাচীন গ্রিসের অনেক নিদর্শন রয়েছে, যেমন থিয়েটার, মন্দির, ঘরবাড়ি ও বাজার। তবে হাজার হাজার বছর ধরে শহরটি নিয়ে কোনো গবেষণা বা অনুসন্ধান হয়নি। পরে এক দশক আগে ক্রিস্টোফার রাট ও তাঁর দলের সদস্যরা নোশন শহর নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। শহরটিতে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু হয় ২০২২ সালে।