লাওসে ‘বিষাক্ত পানীয়’ পানে একে একে ৫ বিদেশি পর্যটকের মৃত্যু

থাইল্যান্ডের ব্যাংকক হাসপাতালের একটি সাধারণ দৃশ্য। মিথানল পানে অসুস্থ হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার এক কিশোরীকে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ২২ নভেম্বর ২০২৪ছবি : রয়টার্স

দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার দেশ লাওসের পর্যটন শহর ভাং ভিয়েং-এ সন্দেহজনক মিথানল বিষক্রিয়ায় এবার পঞ্চম ব্যক্তির মৃত্যু হলো। সর্বশেষ মারা যাওয়ার ব্যক্তির নাম সিমোন হোয়াইট (২৮)। তিনি একজন ব্রিটিশ আইনজীবী।

গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাঁর মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছে। এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘লাওসে মারা যাওয়া ব্রিটিশ ওই নারীর পরিবারকে আমরা সর্বাত্মক সহায়তা দিচ্ছি। আমরা স্থানীয় কর্তৃপক্ষগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।’

সিমোন হোয়াইট আইনবিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান স্কয়ার প্যাটন বগসে কাজ করতেন।

এর আগে একই দিন লাওসে একই ধরনের ঘটনায় ১৯ বছর বয়সী বিয়াঙ্কা জোন্স নামের অস্ট্রেলিয়ার এক কিশোরী মারা গেছে বলে নিশ্চিত করে ওই কিশোরীর পরিবার। এরও কয়েক ঘণ্টা আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ভ্যাং ভিয়েংয়ে এক মার্কিন ব্যক্তির মারা যাওয়ার কথা গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে।

এ ছাড়া গত সপ্তাহে লাওসে নিজেদের দুই নাগরিক মারা যাওয়ার কথা জানিয়েছিল ডেনমার্ক। ডেনমার্কের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর তথ্যমতে, মারা যাওয়া দুজনই মেয়ে। একজনের বয়স ১৯ বছর, আরেক জনের বয়স ২০ বছর। নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে মৃত ব্যক্তিদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়নি।  

গত কয়েক দিনে লাওসে পর পর বিদেশি পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। এসব ঘটনা তদন্ত করছে লাওসের পুলিশ। তবে স্থানীয় গণমাধ্যম ও অনলাইনে বিভিন্ন পর্যটকদের দেওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, সম্ভবত মিথানলযুক্ত পানীয় পানের কারণে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। মিথানল একধরনের মারাত্মক পদার্থ, যা প্রায়ই ভেজাল মদে পাওয়া যায়।

ভ্যাং ভিয়েং লাওসের মধ্যবর্তী অঞ্চলের নদীর তীরবর্তী একটি ছোট শহর। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তরুণ পর্যটকদের কাছে একটি জনপ্রিয় স্থান। ‘বানানা প্যানকেক ট্রেইল’ হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াজুড়ে ঘুরে বেড়ানোর রাস্তা ভ্যাং ভিয়েং থেকেই শুরু হয়েছে। বানানা প্যানকেক ট্রেইল থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, লাওস ও কম্বোডিয়াজুড়ে বিস্তৃত।