সু চির আরও এক মামলার রায়, কারাগারে কাটাতে হবে ৩৩ বছর
মিয়ানমারে ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী এবং শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চির বিরুদ্ধে দেশটির জান্তার আদালতে সব মামলার বিচারকাজ শেষ হয়েছে। আজ শুক্রবার সবশেষ তাঁকে দুর্নীতির পাঁচটি অভিযোগে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সব কটি মামলা মিলে তাঁর ৩৩ বছরের কারাদণ্ড হলো। এ বিচার কার্যক্রমের ব্যাপারে জানেন এমন এক সূত্রের বরাতে রয়টার্স এসব তথ্য জানিয়েছে।
ওই সূত্র রয়টার্সকে বলেছেন, আজ আদালতের একটি রুদ্ধদ্বার কক্ষে বিচার কাজ হয়েছে। মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেতা থাকাকালে একটি হেলিকপ্টার ব্যবহার ও ইজারা দেওয়া সংশ্লিষ্ট অপরাধে এদিন তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় ওই সূত্র তাঁর নাম প্রকাশ করেননি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ব্যাপারে জান্তার মুখপাত্রের মন্তব্য জানতে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করা যায়নি।
শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চি মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কয়েক দশক ধরে আন্দোলন চালিয়েছেন। রাজনৈতিক জীবনে বেশির ভাগ সময়ই তাঁকে বিভিন্ন সেনা সরকারের অধীনে বন্দীদশায় কাটাতে হয়েছে। ২০১৫ সালে মিয়ানমারে ৪৯ বছরের সেনা শাসনের অবসান হয়। ২০১৫ সালের নির্বাচনে সু চির নেতৃত্বাধীন দল নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে এবং সরকার গঠন করে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে। এর পর থেকে মিয়ানমারের নির্বাচিত এই নেত্রী সামরিক বাহিনীর হেফাজতে আছেন।
এক বছর ধরে জান্তার আদালতে সু চির বিরুদ্ধে বিচারকাজ চলছিল। আজকের রায়ের পর সে বিচারকাজ শেষ হলো। এক বছর ধরে একের পর এক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হচ্ছেন সু চি। এসব অভিযোগের মধ্যে আছে নির্বাচনী প্রচারকালে কোভিড-১৯ বিধি ভঙ্গ করা, অবৈধভাবে বেতার সরঞ্জাম রাখা, উসকানি, রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘন এবং দেশের নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা। এসব অভিযোগে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত সু চির মোট ২৬ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল। আজকের রায়ের পর তাঁর দণ্ডের মেয়াদ আরও সাত বছর বাড়ল।
সু চি তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগকে অযৌক্তিক বলে উল্লেখ করেছেন। তবে জান্তার দাবি, অভিযোগগুলো বৈধ।