মিয়ানমারে ভূমিকম্প: ভবনের নিচে চাপা পড়ে শিক্ষকসহ ১২ শিশুশিক্ষার্থী নিহত

উদ্ধারকর্মীরা একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া এক ব্যক্তিকে উদ্ধারের চেষ্টা করছেছবি: এএফপি

মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পে মান্দালয় অঞ্চলের কায়াউকসি শহরের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষকসহ ১২ শিশুশিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে দেশটিতে এই ভূমিকম্পে নিহত ব্যক্তির সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে।

উদ্ধারকর্মীরা জানান, ওয়েস্ট মিয়ি মিয়ি সি প্রি–স্কুলের ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে আজ সকালে ১২ শিশুশিক্ষার্থী ও এক শিক্ষকের মরদেহ পাওয়া গেছে। সময় যতই গড়াচ্ছে, আটকে পড়া শিশুশিক্ষার্থীদের বেঁচে থাকার আশা ক্ষীণ হয়ে আসছে।

বলা হচ্ছে, স্কুল ভবনটি ধসে পড়ার পর থেকে প্রায় ৫০ শিশু ও ৬ শিক্ষক নিখোঁজ রয়েছেন। তবে এই তথ্য নিশ্চিত হতে পারেনি বিবিসি।

উদ্ধারকর্মীদের একজন বলেন, ‘স্কুলে সর্বোচ্চ ৫০ জন শিক্ষার্থী ছিল। কিন্তু আমরা যতজনকে উদ্ধার করেছি, আমাদের কাছে শুধু তাদের তালিকা আছে, এই সংখ্যাটা ১৩।’

কায়াউকসি ড্যাম প্রশাসন, রেড ক্রস এবং বিভিন্ন সামাজিক সহায়তা গোষ্ঠী উদ্ধারকাজে সহযোগিতা করছে। শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে শহরের ঘরবাড়ি, দোকানপাট সব ধসে পড়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্যমতে, গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এর কেন্দ্র ছিল মিয়ানমারের দ্বিতীয় বড় শহর মান্দালয় থেকে প্রায় ১৭ কিলোমিটার দূরে। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পের ১২ মিনিট পর ৬ দশমিক ৪ মাত্রার একটি পরাঘাত (আফটার শক) হয়।

মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, শক্তিশালী কম্পনে নেপিডো, সাইগাইং, মান্দালয়সহ পাঁচটি শহরে অনেক ভবন ধসে পড়েছে। এ ছাড়া একটি সেতু ও একটি রেলসেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, ইরাবতী নদীর ওপর আভা সেতু ধসে পড়েছে।