বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের এক যাত্রীর পাঠানো শেষ বার্তা

দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়েতে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটিতে আগুন জ্বলছে। ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ছবি: রয়টার্স

দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার আগে সেখানকার এক যাত্রী তাঁর স্বজনের কাছে একটি বার্তা দিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁদের উড়োজাহাজের পাখায় একটি পাখি আটকে গেছে। এরপর তাঁর শেষ বার্তাটি ছিল, ‘আমি কি আমার শেষ কথাটি জানিয়ে দেব?’

ওই যাত্রীর মতোই উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার আগে পাইলটও বিপদের বার্তা দিয়েছিলেন। এরপর তিনি বিপরীত দিক থেকে উড়োজাহাজটি অবতরণের চেষ্টা চালান। দেশটির যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা এ কথা জানান। বার্তা সংস্থা নিউজ ওয়ান এ তথ্য জানিয়েছে।

বার্তা পাঠানো ওই যাত্রী ও পাইলট দুজনের কেউই বেঁচে নেই। উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার পর মাত্র দুজন ক্রুকে সেখান থেকে উদ্ধার করা গেছে। তাঁরা উড়োজাহাজটির লেজের দিকে ছিলেন। তবে তাঁদের দুজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। উড়োজাহাজটি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হওয়ায় এটি আর চেনার উপায় নেই। দক্ষিণ কোরিয়ার যোগাযোগ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উড়োজাহাজটি ২০০৯ সালে তৈরি করা হয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার এক কর্মকর্তা বলেছেন, উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের আগে পাখির আঘাত বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছিল নিয়ন্ত্রণ টাওয়ার।

দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয়ের এই কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়ে আরও বলেন, সতর্কতা জারির কিছুক্ষণ পরই উড়োজাহাজটির পাইলটেরা ‘মে ডে’; অর্থাৎ বিপন্ন অবস্থার কথা ঘোষণা করেছিলেন।

একই কর্মকর্তা বলেন, ‘মে ডে’ ঘোষণার প্রায় এক মিনিট পর উড়োজাহাজটি বিমানবন্দরের রানওয়েতে অবতরণের দুর্ভাগ্যজনক চেষ্টা করেন।

দুর্ঘটনার সময় জেজু এয়ারের উড়োজাহাজটিতে ১৭৫ জন যাত্রী ও ৬ জন ক্রু ছিলেন। উড়োজাহাজটি থাইল্যান্ড থেকে এসে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।