দক্ষিণ কোরিয়ার উড়োজাহাজটি দুটি কারণে বিধ্বস্ত হতে পারে

দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়েতে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটিতে আগুন জ্বলছে। ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ছবি: রয়টার্স

দক্ষিণ কোরিয়ায় জেজু এয়ারের যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের কারণ জানিয়েছেন দেশটির স্থানীয় অগ্নিনির্বাপক সংস্থার প্রধান লি জিয়ং হিউন। তিনি বলেছেন, পাখির সঙ্গে ধাক্কা লাগা ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ৮৫-তে পৌঁছেছে।

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক থেকে ১৭৫ জন যাত্রী ও ছয়জন ক্রু নিয়ে আসা উড়োজাহাজটি আজ রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৯টার পরপর দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়েতে বিধ্বস্ত হয়।

বিবিসি জানিয়েছে, নিহত ৮৫ জনের মধ্যে ৩৯ জন পুরুষ ও ৪৬ জন নারী। মুয়ানের অগ্নিনির্বাপক সংস্থা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়ার সময়কার একটি ভিডিও ফুটেজ অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যায়, অবতরণের সময় বোয়িং ৭৩৭-৮এএস মডেলের উড়োজাহাজটি রানওয়ে ধরে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ সেটিতে আগুন ধরে যায়।

দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইয়নহাপ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাতে জানিয়েছে, পাখির সঙ্গে ধাক্কা লাগায় ল্যান্ডিং গিয়ারে জটিলতার কারণে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এর প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করা হচ্ছে। একটি ছবিতে দেখা গেছে উড়োজাহাজের লেজের অংশে আগুন ধরে গেছে। ওই ছবি দেখে আরও মনে হচ্ছে উড়োজাহাজটি তখন রানওয়ের একপাশে ছিল।

কোরিয়ার সম্প্রচারমাধ্যম এমবিসির একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, মুয়ান বিমানবন্দরের রানওয়েতে অবতরণের পর উড়োজাহাজটির ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। পুরো উড়োজাহাজে আগুন ধরে যাওয়ার আগ মুহূর্তে এই ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়।

বিমানবন্দরের একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটির পেছনের অংশে উদ্ধারকাজ করে হচ্ছে।

সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিকভাবে টালমাটাল অবস্থায় থাকা দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং-মক যথাযথভাবে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি চলমান উদ্ধার তৎপরতা নিয়ে আলোচনার জন্য মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় অগ্নিনির্বাপক সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উড়োজাহাজের ধ্বংসাবশেষ থেকে একজন যাত্রী ও একজন ক্রুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার কার্যক্রম চলছে।

আরও পড়ুন

স্থানীয় অগ্নিনির্বাপক সংস্থার কর্মকর্তা লি হেওন-জি বলেন, হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

বিমানবন্দরটি দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান প্রদেশে অবস্থিত। এটা রাজধানী সিউল থেকে প্রায় ২৮৮ কিলোমিটার বা ১৭৯ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে। অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর ৩২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করছে।

আরও পড়ুন