সাগরপথে ইন্দোনেশিয়া পৌঁছাল আরও ১৪৬ রোহিঙ্গা
ইন্দোনেশিয়ায় সাগরপথে আরও ১৪৬ রোহিঙ্গা শরণার্থী পৌঁছেছে। একটি নৌকায় করে আজ বৃহস্পতিবার তারা উত্তর সুমাত্রা প্রদেশের পান্তাই লাবু শহরে পৌঁছায় বলে জানান একজন স্থানীয় কর্মকর্তা। পাশাপাশি ১০০–এর বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে নিয়ে আরেকটি নৌকা উপকূল থেকে প্রায় এক মাইল দূরে অবস্থান করছে বলেও জানা গেছে।
সরকারি কর্মকর্তা মুহাম্মদ ফয়সাল নাসুশনের তথ্যমতে, ১৪৬ জন রোহিঙ্গার মধ্যে পুরুষ ৬৪ জন, নারী ৬২ জন এবং শিশু ২০। তাদের প্রাথমিকভাবে স্থানীয় জেলার একটি আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের সহায়তায় তাদের অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হবে।
ইউএনএইচসিআরের ইন্দোনেশিয়ার সুরক্ষা সহযোগী ফয়সাল রহমান একটি দল নিয়ে এরই মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। সদ্য আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কোথায় স্থানান্তরিত করা যায়, তা নিয়ে তিনি স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছেন।
মিয়ানমারে নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গারা মাঝেমধ্যেই নৌকায় করে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় যায়। বিশেষ করে অক্টোবর থেকে সাগর শান্ত হতে শুরু করলে তারা নৌকায় করে এসব দেশে যাওয়ার চেষ্টা করে। যাওয়ার পথে অনেক সময় নৌকা ডুবে তাদের মৃত্যু হয়।
ইউএনএইচসিআরের সুরক্ষা সহযোগী ফয়সাল রহমান জানান, ১০০–এর বেশি রোহিঙ্গাকে বহনকারী আরেকটি নৌকা উপকূল থেকে প্রায় এক মাইল দূরে সাগরে অবস্থান করছে। উত্তর সুমাত্রার পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ আচেহ উপকূলে অবস্থানকারী এসব রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আজকের মধ্যে উদ্ধারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়া ইউএনএইচসিআরে স্বাক্ষরকারী দেশ নয়। তাই দেশটি শরণার্থী প্রার্থীদের আশ্রয় দিতে বাধ্য নয়। দেশটি দাবি জানিয়ে আসছে, তাদের উপকূলীয় অঞ্চলে যেসব রোহিঙ্গা শরণার্থী আসছে, তাদের প্রতিবেশী অন্য দেশগুলোতে স্থানান্তরিত করা হোক। কারণ, তাদের ওপর চাপ বাড়ছে।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ১০০–এর বেশি রোহিঙ্গা আচেহ উপকূলে আশ্রয় নিয়েছিল। তখন তাদের সেখান থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত করতে স্থানীয় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছিল। তবে আচেহবাসীর অনেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি সহানুভূতিশীল। একসময় তারাও কয়েক দশক ধরে রক্তক্ষয়ী নিপীড়নের শিকার হয়েছিল।