সৌদি আরবে সাড়ে ১৫ হাজার অভিবাসী আটক
আইন লঙ্ঘনকারী ও অবৈধ হয়ে যাওয়া অভিবাসীদের বিরুদ্ধে বড় পরিসরে ধরপাকড় শুরু করেছে সৌদি আরবের সরকার। দেশটির বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এক সপ্তাহে প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দেশটির আবাসন ও শ্রম আইন এবং সীমান্ত নিরাপত্তা নীতিমালার মতো নিয়মনীতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে সৌদি আরব সরকার।
সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সৌদি গেজেটস আজ রোববার এক প্রতিবেদনে জানায়, গত ২৮ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েকটি ইউনিট বিভিন্ন জায়গায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে। এ সময় আটক করা হয়েছে ১৫ হাজার ৩৯৯ জনকে।
তাঁদের মধ্যে ৭ হাজার ২৯২ জন আবাসন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে আটক হয়েছেন। ৬ হাজার ৩৭৩ জনের বিরুদ্ধে সীমান্ত নিরাপত্তা নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। আর ১ হাজার ৭৩৪ জনকে আটক করা হয়েছে শ্রম আইন লঙ্ঘন করায়। আবাসন ও শ্রম আইন লঙ্ঘনকারীদের আশ্রয় ও পরিবহন সহায়তা দেওয়ার অভিযোগে আটক হয়েছেন ১৭ জন।
এ ছাড়া বেআইনিভাবে সৌদি সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে দেশটিতে আরও ২৭৮ জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৫৫ শতাংশই আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ার নাগরিক।
৪২ শতাংশ যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনের আর অন্যান্য দেশের ৩ শতাংশ নাগরিক রয়েছেন।
সৌদি সংবাদমাধ্যমের খবর, আইন ভঙ্গের অভিযোগে দেশটিতে ৮৮ হাজার ২৯ জন অভিবাসীকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৭৮ হাজার ৬৮৭ জন পুরুষ ও ৯ হাজার ৩৪২ জন নারী। শনাক্ত হওয়া ৭২ হাজার ৭৮৮ জন অভিবাসীকে নিজ নিজ দেশের দূতাবাস থেকে বৈধ ভ্রমণ নথি সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে ১০ হাজার ১৭ অভিযুক্তকে সৌদি আরব ছাড়তে বলেছে দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এদিকে অবৈধ অভিবাসীদের আবাসন, কাজ জোগাড় করে দেওয়া, পরিবহনসহ যেকোনো ধরনের সেবা প্রদান থেকে সৌদি নাগরিকদের বিরত থাকতে নির্দেশনা দিয়েছে দেশটির সরকার। এর ব্যত্যয় হলে কঠোর শাস্তি পেতে হবে বলেও সতর্ক করেছে দেশটি। এসব নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১৫ বছরের বেশি কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ ১০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানা হতে পারে। যাঁরা অবৈধ প্রবেশকারীদের কোনো ধরনের পরিবহনসুবিধা ও বাড়িতে প্রবেশের সুবিধা দেবেন, সেসবও জব্দ করা হবে।