দীর্ঘদিন ধরে চলমান কাশ্মীর সংকটের সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় চীন। এ অঞ্চলের পরিস্থিতি জটিল করে তুলতে পারে এমন কোনো ‘একতরফা হস্তক্ষেপের’ বিরোধিতাও করেছে দেশটি। খবর পিটিআইয়ের।
গত রোববার বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব পিপলে চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বৈঠকে কাশ্মীর নিয়ে চীন এমন অবস্থানের কথা জানায়। বৈঠকে দেশটির উচ্চপর্যায়ের অন্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (সিপিইসি) প্রকল্পের ধীরগতি ও পাকিস্তানে নানা প্রকল্পে কর্মরত চীনা নাগরিকদের ওপর হামলার ঘটনাসহ দুই দেশের মধ্যকার নানা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে চার দিনের বেইজিং সফরে যান ইমরান খান। রোববার ছিল সফরের শেষ দিন। সফরে তিনি বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত শীতকালীন অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও যোগ দেন।
চীনা বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানায়, রোববারের বৈঠকে নানা আশ্বাস এসেছে সি চিন পিংয়ের পক্ষ থেকে। ইমরান খানকে তিনি জানিয়েছেন, পাকিস্তানের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা রক্ষা এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দেশটির লড়াইয়ের প্রতি চীনের দৃঢ় সমর্থন রয়েছে। আর সিপিইসি প্রকল্প সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হাত মিলিয়ে কাজ করবে দুই দেশ।
এদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর শেষে এক যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে সবার সাধারণ স্বার্থ রক্ষা করে একটি শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়া গড়ে তুলতে নিজেদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে এ দুই দেশ।
বিবৃতিতে বলা হয়, বৈঠকে চীনের কাছে জম্মু-কাশ্মীরের সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরে পাকিস্তান। অঞ্চলটিকে ঘিরে এই মুহূর্তে দেশটির অবস্থান, উদ্বেগ, সমস্যাগুলোও সামনে আনা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে চীন জানায়, কাশ্মীর নিয়ে বিবাদ ঐতিহাসিকভাবে চলে আসছে।জাতিসংঘের সম্মতি, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব এবং দ্বিপক্ষীয় বোঝাপড়ার ভিত্তিতেই এ সংকটের সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ সমাধান করা উচিত। পরিস্থিতি জটিল করে তোলে এমন কোনো একতরফা পদক্ষেপের বিরোধী বেইজিং।
সির সঙ্গে বৈঠকের পর ইমরান এক টুইট বার্তায় বলেন, চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর দারুণ বৈঠক হয়েছে। তাঁরা দুই দেশের কৌশলগত ও অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও বৃদ্ধি করতে রাজি হয়েছেন। আর সিপিইসির দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ দ্রুত করার ব্যাপারে একমত হয়েছেন।