সুদানের প্রধানমন্ত্রীসহ ৫ মন্ত্রী অস্ত্রধারী সেনাদের হাতে গ্রেপ্তার

সুদানের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লাহ হামদকের গ্রেপ্তার হওয়ার খবর জানা যাচ্ছে
ছবি : রয়টার্স।

অস্ত্রধারী সেনারা সুদানের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রীসহ একাধিক মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাতে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি ও রয়টার্স। সোমবার ভোরে এ ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্য দিয়ে আফ্রিকার দেশটিতে চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা আরও বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এদিকে আল অ্যারাবিয়ার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, খার্তুম বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সুদানের তথ্যমন্ত্রীর বরাত দিয়ে রয়টার্স চার মন্ত্রী গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে।

বিবিসি জানিয়েছে, সোমবার ভোরের দিকে অজ্ঞাতনামা সেনারা সুদানের অন্তত চারজন মন্ত্রীকে আটক করেছেন। একটি প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বেসামরিক সরকারের প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লাহ হামদক গ্রেপ্তার হয়েছেন। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রীর গ্রেপ্তারের বিষয়টি তাৎক্ষণিক নিশ্চিত হতে পারেনি বিবিসি।

কারা সরকারের সদস্যদের গ্রেপ্তার করেছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। দেশটির সামরিক বাহিনী এসব খবর নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, রাজধানী খার্তুমে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত ছবিতে ক্ষুব্ধ জনতাকে সড়কে টায়ার পোড়াতে দেখা যাচ্ছে।

যেকোনো ধরনের সেনা অভ্যুত্থান ঠেকাতে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে সুদানের প্রধান গণতন্ত্রপন্থী গোষ্ঠী। অন্তর্বর্তী সরকার ও সামরিক বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যে প্রধানমন্ত্রীসহ একাধিক মন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের এই খবর এল।
২০১৯ সালে প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরের সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ক্ষমতা ভাগাভাগি করে দেশ শাসন করছিল সামরিক বাহিনী ও বেসামরিক সরকার। তবে গত সেপ্টেম্বরে ওমর আল-বশিরের অনুসারীদের একটি অভ্যুত্থানচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর থেকে নতুন করে উত্তেজনা বেড়েছে।

এ মাসের শুরুর দিকে, সুদানের গণতন্ত্রে উত্তরণের বিরোধীরা রাজধানী খার্তুমের রাস্তায় নামে। তারা সেনাবাহিনীকে দেশের নিয়ন্ত্রণ নিতে আহ্বান জানায়।

এরপর গত বৃহস্পতিবার রাজধানী খার্তুমের রাস্তায় নেমে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ করে দেশটির হাজারো মানুষ। তবে সুদানের অর্থনীতি ধুঁকতে থাকায় সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন কমে গেছে মানুষের।