বিক্ষোভের মুখে নাইজেরিয়ায় পুলিশের বিশেষ বাহিনী বাতিল
বিক্ষোভের মুখে পুলিশের বিশেষ বাহিনী ভেঙে দিয়েছে নাইজেরিয়া। দেশটির সরকার বলেছে, প্রেসিডেন্ট স্পেশাল অ্যান্টি–রোবারি স্কোয়াড (সার্স) অবিলম্বে বাতিল করতে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন।
বিবিসিতে আজ সোমবার প্রকাশিত খবরে জানা যায়, এক ব্যক্তিকে হত্যা করার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর পুলিশের বিশেষ বাহিনীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলে। বিক্ষোভ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
সার্স স্কোয়াডের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে আটক, অত্যাচার ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রেসিডেন্টের কার্যালয় বলছে, এই বাহিনীর সদস্যের পুনর্নিয়োগ দেওয়া হবে। স্কোয়াড পুনর্গঠনে নতুন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
নাইজেরিয়ার পুলিশপ্রধান বলেছেন, সামাজিক সংগঠন ও মানবাধিকার দলের সমন্বয়ে তদন্তকারী দল গঠন করা হবে। এই তদন্তকারী দল সার্সের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করবে।
নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি এর আগে বলেন, তিনি পুলিশের সহিংসতা বন্ধ করতে চান। তিনি সংস্কার করতে চান এবং বিপথগামী কর্মকর্তাদের বিচার চান।
বিক্ষোভকারীরা সার্স স্কোয়াড সংস্কারের বদলে ভেঙে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল। কারণ পুলিশের আচরণ পরিবর্তনে আগে যেসব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তার কোনোটাই কার্যকর হয়নি।
বিক্ষোভকারীদের অন্যতম দাবি ছিল, বছরের পর বছর ধরে অধিকার লঙ্ঘন ও অন্যায় করে যাওয়া স্কোয়াড বাতিল করা। তবে সার্স বাতিল করা হলেও উদ্বেগের একটি বিষয় রয়ে গেছে। বিতর্কিত পুলিশ বাহিনীর ইউনিটকেই পুনর্নিয়োগ দেওয়া হবে। এতে নাইজেরিয় পুলিশ বাহিনীর মধ্যে সার্সের কর্মীরা ছড়িয়ে পড়বেন। এ নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা বলছে, বিক্ষোভ চলাকালে তাদের ওপর মারধর, ভয় দেখানোর ঘটনা ঘটেছে। আর এর বেশির ভাগই পুলিশ বাহিনী চালিয়েছে। সার্স নয়।
বিক্ষোভকারীরা আরও বলছে, সহিংসতার জন্য তারা নাইজেরিয়ার সব পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চায়। আগে সহিংসতার জন্য কোনো পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না, তা–ও স্পষ্ট নয়। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টান্যাশনাল বলেছে, অভিযুক্তদের বিচার নিশ্চিত করা জরুরি।