দক্ষিণ আফ্রিকায় বাবা ও ছেলে মিলে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির ড্রোন তৈরি করেছেন। এই ড্রোনের গতি ঘণ্টায় ৪৮০ কিলোমিটার (২৯৮ দশমিক ৪৭ মাইল)।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস জানায়, দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়েস্টার্ন কেপ অঞ্চলের লিউক বেল ও তাঁর বাবা মাইক এর আগে ঘণ্টায় ২৪৭ মাইল গতির ড্রোন তৈরি করেছিলেন। এরপরই তাঁরা কোয়াডকপ্টার পেরেগ্রিন ২ মডেলের ড্রোনটি নির্মাণ করলেন।
ব্যাটারিচালিত ড্রোনটি দূরনিয়ন্ত্রিত। ড্রোনটি নিয়ন্ত্রণের কৌশল ঠিক করতে বাবা–ছেলে অ্যারোথারমাল প্রকৌশলী ক্রিস রসের সহায়তা নেন। রেকর্ড ধরে রাখতে তাঁরা বিপরীত দিক থেকে দুই দফায় ড্রোনটি ওড়ান। বাতাসের অনুকূলে ও বিপরীতে এর সক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখা হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়েস্টার্ন কেপ প্রদেশের অরচেস্টার এলাকায় গত ২১ এপ্রিল এই ড্রোনের পরীক্ষা হয়। ড্রোনের ঘণ্টায় সর্বোচ্চ গতি উঠেছিল ৩১৭ মাইল এবং গড়ে গতি ছিল ২৯৮ দশমিক ৪৭ মাইল।
বাবা ও ছেলে মিলে কয়েক মাসের প্রচেষ্টায় তাঁদের গ্যারেজে বসে যন্ত্রটি তৈরি করেন। এটি বানাতে গিয়ে তার ও ব্যাটারিতে অতি তাপের কারণে বৈদ্যুতিক আগুনসহ নানা যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল।
মাইক বেল পেশায় একজন স্থপতি। তিনি মোম্বেলা স্টেডিয়ামের ডিজাইন করেছিলেন। ওই স্টেডিয়ামে ২০১০ সালে ফুটবল বিশ্বকাপের খেলা হয়েছিল। আর তাঁর ছেলে লিউক হচ্ছেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর। এ ছাড়া তিনি সনির দূত হিসেবে কাজ করেন। বিশেষ করে এই প্রতিষ্ঠানের তৈরি ড্রোন ও ক্যামেরার পর্যালোচনা করে তিনি ইউটিউব ও ইনস্টাগ্রামে ভিডিও দিয়ে থাকেন।
নেদারল্যান্ডসের প্রতিষ্ঠান ডাচ ড্রোন গডসের সঙ্গে অংশীদারির ভিত্তিতে রেড বুল দ্রুতগতির ড্রোন নির্মাণের কিছুদিন পরই সবচেয়ে দ্রুতগতির এই ড্রোন বানালেন বাবা–ছেলে। রেডবুলের ওই ড্রোন সাধারণত আকাশ থেকে ছবি ও ভিডিও তৈরির কাজে বিশেষভাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।