সুদানে প্রতিদ্বন্দ্বী সরকার ঘোষণা করেছে আধা সামরিক বাহিনী আরএসএফ
সুদানে সামরিক সরকারের প্রতিদ্বন্দ্বী আরেকটি সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)। আফ্রিকার দেশটিতে প্রায় দুই বছর ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে, সামরিক বাহিনীর সঙ্গে আরএসএফের ওই লড়াই সেখানে চরম মানবিক সংকট তৈরি করেছে।
প্রতিদ্বন্দ্বী সরকার গঠনের ঘোষণার পর আরএসএফ প্রধান মোহাম্মদ হামদান দাগালো বলেছেন, কেবল তাঁরাই সুদানের জন্য একটি বাস্তবসম্মত ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ করতে পারবেন। মোহাম্মদ হামদান দাগালো সবার কাছে জেনারেল হেমেদতি নামে পরিচিত।
সুদানে গৃহযুদ্ধের দ্বিতীয় বার্ষিকীতে লন্ডনে গতকাল মঙ্গলবার উচ্চপর্যায়ের একটি সম্মেলন হয়েছে। সেখানে সুদানে লড়াইরত সব পক্ষকে শান্তির পথে হাঁটার আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি। জেনারেল হেমেদতি বলেছেন, আরএসএফ এমন একটি দেশ নির্মাণ করছে, যেখানে কোনো ব্যক্তির শাসন নয়; বরং আইনের শাসন থাকবে।
টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে হেমেদতি আরও বলেন, ‘আমরা ঐক্য চাই, আধিপত্য নয়। সুদানি সত্তার ওপর কোনো জাতি, অঞ্চল বা ধর্মের একক আধিপত্যে আমরা বিশ্বাস করি না।’
হেমেদতি বলেন, তাঁর সরকার শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার মতো জরুরি পরিষেবা দেবে এবং সেটা শুধু তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকার মানুষের জন্য নয়; বরং পুরো দেশের মানুষের জন্য।
সুদানে দুই বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধে সামরিক বাহিনী ও আরএসএফ উভয়ের বিরুদ্ধে গণহত্যা এবং ব্যাপকভাবে যৌন নিপীড়ন চালানোর মতো যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠেছে।
সুদানের সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের সঙ্গে একসময়ে তাঁর সহকারী আরএসএফের প্রধান জেনারেল হেমেদতির ক্ষমতার দ্বন্দ্বে ২০২৩ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। দুই বছরে যুদ্ধে দেড় লাখের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। বাস্তুহারা হয়েছেন ১ কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষ।