২০২৪ সালের প্রতিটি দিন ম্যারাথন দৌড়েছেন তিনি

হিল্ডে ডসোনি মঙ্গলবার টানা ৩৬৬তম দিনের দৌড় শেষ করেনছবি: এপি

তুষারপাত, ঝড়-বৃষ্টি, অসুখ-বিসুখ, আঘাত কোনো কিছুই তাঁকে থামাতে পারেনি। সদ্য বিদায়ী বছরের প্রতিটি দিন তিনি ম্যারাথন দৌড়েছেন। ২০২৪ সালের শেষ দিন গত মঙ্গলবার তিনি শেষবারের মতো দৌড়েছেন। এর মধ্য দিয়ে শ্রমসাধ্য একটি বছর শেষ করেছেন বেলজিয়ামের নারী দৌড়বিদ হিল্ডে ডসোনি।

মঙ্গলবারের দৌড় শেষ হওয়ার পর উপস্থিত দর্শকেরা ডসোনিকে ঘিরে ধরেন। তিনি বলেন, ‘এটা শেষ হয়েছে, আমি ধন্য।’

এই এক বছরে ৫৫ বছর বয়সী ডসোনি অন্তত ১৫ হাজার ৪৪৪ কিলোমিটার দৌড়েছেন। এই সময়ে তিনি শুধু দৌড়াননি, উপরন্তু স্তন ক্যানসার গবেষণার জন্য প্রায় ৬০ হাজার ইউরো তহবিল সংগ্রহ করেছেন।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখাতেই এত কাণ্ড করেছেন ডসোনি। এখন ডসোনি রেকর্ড বইয়ে নাম ওঠাতে আবেদন করবেন।

পুরুষ বিভাগে এই রেকর্ডের মালিক ব্রাজিলের হুগো ফারিয়াস। ২০২৩ সালে হুগো ফারিয়াস একটানা ৩৬৬ দিন দৌড়েছিলেন। নারী বিভাগে বর্তমানে একটানা সবচেয়ে বেশি দিন ম্যারাথন দৌড়ানোর রেকর্ডের মালিক অস্ট্রেলিয়ার এরচানা মারে-বার্টলেট। ২০২৩ সালে তিনি টানা ১৫০ দিন দৌড়েছেন।

টানা এক বছর ম্যারাথনে দৌড়ানো মোটেই সহজ কথা নয়। এ জন্য প্রচণ্ড শারীরিক ও মানসিক চাপ নিতে হয়। এই এক বছরে ডসোনি ফ্লু ও কোভিড-১৯–এ আক্রান্ত হয়েছেন। এ ছাড়া বেশ কয়েকবার তিনি আহত হয়েছেন, তাঁর শরীরে ফোসকা পড়েছে এবং হাড়ের সংযোগে আঘাত পেয়েছেন। কিন্তু তিনি দৌড় থামাননি। নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে প্রতিদিন অন্তত ৪২ দশমিক ১৯৫ কিলোমিটার দৌড়াতে হতো। কিন্তু রেকর্ড গড়ায় যেন কোনো ঝুঁকিতে পড়তে না হয়, তাই তিনি প্রতিদিন সাড়ে ৪২ কিলোমিটার দৌড়েছেন।

পেশায় জৈব প্রকৌশলী ডসোনি প্রতিদিন সকালে দৌড় শুরু করতেন। তিনি বলেন, ‘শারীরিকের চেয়ে মানসিক চাপ বেশি ছিল। অবশ্যই শারীরিকভাবে সব ঠিকঠাক থাকতে হয়েছে।’