পানির সংকটে হুমকিতে বিশ্ব খাদ্য উৎপাদন: প্রতিবেদন
পানিসংকট নিরসনে নিষ্ক্রিয়তা ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি খাদ্য উৎপাদনকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার গ্লোবাল কমিশন অন দ্য ইকোনমিকস অব ওয়াটারের (জিসিইডব্লিউ) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ পায়। ওই প্রতিবেদনে এই সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘প্রায় তিন শ কোটি মানুষ এবং বিশ্বের অর্ধেকের বেশি খাদ্য উৎপাদন এখন এমন এলাকায়, যেখানে পানির মোট মজুত কমছে বলে ধরণা করা হয়েছে।’
ওই প্রতিবেদনে পানিসংকটের কারণে ২০৫০ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশগুলোর মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) গড়ে ৮ শতাংশ এবং নিম্ন আয়ের দেশগুলোর জিডিপি ১৫ শতাংশের বেশি কমে যেতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পানিচক্রে ব্যাঘাতের ‘বড় ধরনের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রভাব রয়েছে’।
‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৃষ্টিপাতের ধরনে পরিবর্তন এবং তাপমাত্রার ক্রমবৃদ্ধির সম্মিলিত প্রভাব, সেই সঙ্গে পানির মোট মজুত হ্রাস এবং বিশুদ্ধ পানি ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার অভাবের’ ফলে অর্থনৈতিক পতন ঘটতে পারে।
প্রতিবেদনে এই সংকট মোকাবিলায় পানিচক্রকে ‘বিশ্বের সাধারণ স্বার্থ’ হিসেবে দেখার আহ্বান জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, সব স্তরে জল শাসনব্যবস্থায় সংস্কার আনতে হবে।
প্রতিবেদনে আরও বলেছে, জল–নিবিড় খাতে ক্ষতিকর ভর্তুকি হয় বাদ দিতে হবে, নয় সেটা জল সংরক্ষণের কাজে লাগাতে হবে। দরিদ্র ও দুর্বলদের জন্য নির্ধারিত সহায়তা প্রদানের আহ্বানও জানানো হয়েছে।
অনলাইনে একটি সংবাদ সম্মেলনে ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের মহাপরিচালক গোজি ওকনজো-ইওয়ালা বলেন, ‘আমাদের উপযুক্ত ভর্তুকি দিয়ে পানির দাম নির্ধারণ করতে হবে।’ ওকনজো-ইওয়ালা জিসিইডব্লিউর সহপ্রধান।