৫৫ বছর পর এল বন্ধুর খোঁজে ভাসানো চিঠি

কোলম্যান ও ব্ল্যাঙ্কলির সেই চিঠি
ছবি: স্কানথ্রোপ লিটার পিকার গ্রুপের ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া

বন্ধুর (বয়ফ্রেন্ড) খোঁজে চিঠি লিখেছিলেন ১৫ বছরের দুই ব্রিটিশ কিশোরী। তারপর সেই চিঠি বোতলে ভরে নদীতে ভাসিয়ে দেন তাঁরা। চিঠিতে লেখা ছিল, যারা এ চিঠি পাবে, তারা যেন তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সেই চিঠি পাওয়া গেছে। তবে মাঝে পেরিয়ে গেছে দীর্ঘ ৫৫ বছর।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বোতলে পুরে দেওয়া চিঠিটি লেখা হয় ১৯৬৬ সালে। ২ এপ্রিল বোতলটি যুক্তরাজ্যের উত্তর লিংকনশায়ারের হামবার মোহনায় খুঁজে পান এক স্বেচ্ছাসেবক। আবর্জনা উত্তোলক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্কানথ্রোপ লিটার পিকার গ্রুপের সদস্য তিনি।

চিঠিতে লেখা আছে, ওই দুই কিশোরীর বয়স ১৫ বছর। নাম জেনিফার কোলম্যান ও জ্যানেট ব্ল্যাঙ্কলি। তারিখ ৯ আগস্ট ১৯৬৬। তাতে বলা হয়, চিঠি পাওয়ার পর ১৬ বছরের বেশি কিন্তু ১৮ বছরের কম বয়সী অবিবাহিত ছেলে তাঁদের উদ্দেশে চিঠি লিখতে পারবে।

স্বেচ্ছাসেবক ওই সংগঠনের সদস্য ট্রেসি মার্শাল জানান, তিনি ফেসবুকের বদৌলতে কোলম্যানের খোঁজ পেয়েছেন। ভিডিও কলের মাধ্যমে তাঁকে সেই চিঠি দেখিয়েছেনও। বোতলটি ভালোভাবে সিলগালা করা থাকায় চিঠি প্রায় শুকনো অবস্থায়ই পাওয়া গেছে।

স্কুলের পাট চুকিয়ে কোলম্যান বহু আগেই অস্ট্রেলিয়া পাড়ি দিয়েছেন। বিবিসিকে তিনি বলেন, যে জায়গায় বোতলটি খুঁজে পাওয়া গেছে, সেখান থেকে কিছু দূরেই তিনি ও তাঁর বান্ধবী চিঠি ভরা ওই বোতল ভাসিয়েছিলেন। সেটি কিছু দূর ভেসে গিয়েছিল। কিন্তু ফিরতি ঢেউয়ে হয়তো কূলের কাছে চলে আসে। তিনি জানান, বান্ধবী ব্ল্যাঙ্কলির সঙ্গে তাঁর এখন যোগাযোগ নেই। তবে চিঠি পাওয়ার খবর শুনে থাকলে অবশ্যই তিনি বিস্মিত হয়েছেন।

কোলম্যান আরও বলেন, এটা সত্য, ওই চিঠি নদীতে ভাসিয়ে তিনি কোনো বয়ফ্রেন্ড পাননি। তবে নিজের ৪৯ বছর বয়সে তিনি ভালোবাসার মানুষটির দেখা পেয়েছেন। তিনি জানান, মূলত পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে তাঁরা দুই বান্ধবী তাৎক্ষণিক চিন্তা থেকে বোতলে পুরে ওই চিঠি ভাসিয়েছিলেন।