২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

৫০ বছর পর ফিরল ‘অ্যান্টিক’ বইটি

এই সেই ‘অ্যান্টিক’ বই।
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের (ইউসিএল) গ্রন্থাগারে একটি বই প্রায় ৫০ বছর পর ফেরত এসেছে। ১৮৭৫ সালের সংস্করণের ওই বই কোনো এক পাঠক ১৯৭৪ সালের গ্রীষ্মে সেখান থেকে পড়ার জন্য নিয়েছিলেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে বইটি ফেরত না দেওয়ায় প্রতিদিন ১৩ সেন্ট (১০০ সেন্ট‍=১ ডলার) হিসাবে তাঁর জরিমানা হয় ১ হাজার ৬৪৮ মার্কিন ডলার।

গত বুধবার ইউসিএল তাদের ওয়েবসাইটে বইটি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সঙ্গে বইটির একটি ছবিও দেওয়া হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, বইটি চলতি বছর কুরিয়ারে গ্রন্থাগারিক সুজানা ট্রেইয়ের টেবিলে এসে পৌঁছেছে। সঙ্গে বইটির গ্রহীতা একটি চিরকুটও পাঠিয়েছেন। তবে সেখানে তিনি নিজের নাম-পরিচয় উল্লেখ করেননি।

ইউসিএল বলছে, বইটি রোমান কমেডি নাটক কোয়েরোলাস-এর ১৮৭৫ সালের একটি সংস্করণ। খ্রিষ্টীয় পাঁচ শতকে লাতিন ভাষায় লেখা অজ্ঞাতনামা লেখকের বইটি একটি পূর্ণাঙ্গ নাটকের; যা প্লাউটাস, টেরেন্স ও সেনেকার নাটক ছাড়া একমাত্র সম্পূর্ণ রোমান নাটক। একজন জাদুকরের তার এক দরিদ্র উত্তরাধিকারীর সঙ্গে প্রতারণার চেষ্টা এর মূল উপজীব্য।

গ্রন্থাগারিক সুজানা বলেন, তিনি করোনাকালের জন্য ১৮ মাস বাসায় বসে দাপ্তরিক কাজ করেন। সম্প্রতি সশরীর কাজে যোগ দেন। অফিসে এসে দেখেন, তাঁর টেবিলে অনেক বই জমা পড়েছে। এর মধ্যে ওই বইও ছিল। বইটির সঙ্গে দেওয়া চিরকুটে লেখা, ‘প্রিয় গ্রন্থাগারিক, আমি বইটি ফেরত দিতে ভয় পাচ্ছি। ফেরত দেওয়ার সময়সীমা প্রায় ৫০ বছর আগেই পেরিয়ে গেছে! অনুগ্রহ করে বইটি ফেলে দেবেন না। এটি ফেরত দিতে আমাকে সময় ও শ্রম ব্যয় করতে হয়েছে। (আমার বিশ্বাস) এটি এখন একটি “অ্যান্টিক” বিষয়ে পরিণত হবে।’

সুজানা বলেন, ‘চিরকুট পড়তে গিয়ে আমি বিস্মিত হই। বিস্ময়ে আমার চোয়াল যেন ঝুলে যাচ্ছিল।’

অধ্যাপক গেসিন মানুওয়াল্ড ইউসিএলের গ্রিক ও লাতিন বিভাগের প্রধান এবং রোমান নাটকের গবেষক। তিনি বলেন, ইউসিএলের একজন সাবেক ব্যবহারকারীর এমন আনুগত্য আশ্চর্যজনক। এক অর্থে বইটি অ্যান্টিক। তবে এটা সত্যি, এটি এখনো মানসম্মত টিউবনার সিরিজের সবচেয়ে সাম্প্রতিক সংস্করণ। সংস্করণটি এখন গুগল বুকসেও পাওয়া যাচ্ছে। তবে ১৮৭৫ সালের মূল সংস্করণের হার্ড কপি পড়তে পারা আলাদা অনুভূতির জন্ম দেবে।