বয়স্কদের পছন্দ পিন 'লক'
এখনকার স্মার্টফোনে প্রায় সবাই লক সিস্টেম ব্যবহার করেন। পাসওয়ার্ড, পিন বা প্যাটার্ন এঁকে স্মার্টফোনের তথ্য বেহাত হওয়া ঠেকান। কিন্তু গবেষকেরা বলছেন, স্মার্টফোন লক করে রাখার এ পদ্ধতি আপনার বয়স সম্পর্কে অন্যদের ধারণা দিতে পারে। এ নিয়ে সম্প্রতি কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার (ইউবিসি) গবেষকেরা একটি গবেষণা করেছেন। গত বৃহস্পতিবার ওই গবেষণার ফল প্রকাশ করে তাঁরা বলেন, বয়স্ক ব্যক্তিরা তরুণদের চেয়ে অটো লক ফিচারে বেশি নির্ভর করেন।
গবেষকেরা দাবি করেন, পুরোনো স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা ফোন আনলক করতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট আনলক সিস্টেমের চেয়ে পিন পদ্ধতিতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। বয়স্ক ব্যবহারকারীরা কোনো দোকানে কেনাকাটা করতে গেলে, ডেস্কে কাজ করার সময় বা বাড়িতে বসে থাকার সময় বেশি ফোন আনলক করেন।
ইউবিসির গবেষক কনস্টানটিন বেজনোসোভ বলেন, বয়স ও স্মার্টফোন ব্যবহারের মধ্যে সম্পর্ক খোঁজার ক্ষেত্রে এটাই প্রথম গবেষণা। স্মার্টফোনে অনুমোদনহীন অ্যাকসেস যাতে কেউ না পায়, সে বিষয়টিতে সুরক্ষা দিতে ব্যবহারকারীরা কীভাবে ডিভাইস ব্যবহার করেন, তা জানা জরুরি। দৈনন্দিন কাজে স্মার্টফোন ব্যবহারের ধরন বোঝার পাশাপাশি এ বিষয়ে বাস্তব তথ্য হাতে পেলে তা স্মার্টফোন নির্মাতাদের অবহিত করা হবে। এতে সুরক্ষিত ফোন নির্মাণ করা সম্ভব।
গবেষকেরা তাঁদের গবেষণায় দেখেছেন, তরুণদের তুলনায় বয়স্ক ব্যক্তিরা ফোন ব্যবহার করেন কম। প্রতি ১০ বছর বয়সের ব্যবধানে স্মার্টফোনের ব্যবহার ২৫ শতাংশ কমতে দেখা যায়। অর্থাৎ, ২৫ বছর বয়সী কেউ যদি দিনে ২০ বার ফোন ব্যবহার করেন, তবে ৩৫ বছর বয়সী তা দিনে ১৫ বার ব্যবহার করেন।
১৯ থেকে ৬৩ বছর বয়সী ১৪৩ জন ব্যক্তির মধ্যে সমীক্ষা চালিয়ে এ গবেষণা করা হয়েছে। ব্যবহারকারীদের ফোন বিশেষ অ্যাপ্লিকেশন চালু করে স্মার্টফোন ব্যবহারের তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, গড়ে স্মার্টফোন ব্যবহারের সময় হিসাব করলে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা স্মার্টফোন ব্যবহার করেন বেশি। ২০ বছর বয়সীদের মধ্যে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের স্মার্টফোন ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। তবে বয়স ৫০ পার হলে আবার নারীদের চেয়ে পুরুষের স্মার্টফোন ব্যবহার বেড়ে যায়।
এ গবেষণা বয়সের বিবেচনায় নতুন নকশার স্মার্টফোন অথেনটিকেশন সিস্টেম চালু করতে সাহায্য করবে বলে মনে করেন গবেষকেরা।