বুয়েটে আইসিটি একাডেমি চালু করল হুয়াওয়ে
শিক্ষার্থীদের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি শিল্প খাতের চাহিদা অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দিতে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) আইসিটি একাডেমি চালু করেছে হুয়াওয়ে। অংশীদারত্বের ভিত্তিতে চালু হওয়া এ একাডেমিতে ১৯টি বিষয়ে ৮৩টি কোর্সে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। হুয়াওয়ে অথরাইজড ইনফরমেশন অ্যান্ড নেটওয়ার্ক একাডেমি (এইচএআইএনএ) পরিচালিত কোর্সগুলো সম্পন্নের পর সনদও পাওয়া যাবে।
আজ বুধবার বুয়েট কাউন্সিল ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ে বুয়েট আইসিটি একাডেমির উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আইসিটি খাতে রপ্তানি বাড়লেই দেশ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাবে। সর্বাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর হুয়াওয়ে বুয়েট আইসিটি একাডেমির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা হালনাগাদ প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি সেগুলো ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। দেশকে এগিয়ে নিতে সরকার, একাডেমি ও বেসরকারি খাতগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
বুয়েটের উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, ২০০৮ সাল থেকে হুয়াওয়ের সঙ্গে বুয়েট কাজ করছে। একাডেমিটি বুয়েটের বর্তমান শিক্ষা কারিকুলামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। একই সঙ্গে এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা প্রায়োগিক জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে নিজেদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারবেন।
হুয়াওয়ে টেকনোলজিস বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্যান জুনফেং বলেন, বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে এগিয়ে নিতে অনেক দিন ধরেই কাজ করছে হুয়াওয়ে। বুয়েটে হুয়াওয়ের আইসিটি একাডেমি তরুণ শিক্ষার্থীদের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের জন্য সহায়তা করবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আইসিটি একাডেমিতে ফাইভ–জি ও আইওটি (ইন্টারনেট অব থিংস) প্রযুক্তিসহ সর্বাধুনিক প্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয় হাতে–কলমে শেখার সুযোগ পাবেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মশালা ও চাকরি মেলারও আয়োজন করবে একাডেমিটি। প্রাথমিকভাবে প্রায় ২৫০ শিক্ষার্থী নিয়ে আইসিটি একাডেমির কার্যক্রম শুরু হবে। ৯০টির বেশি দেশে প্রায় দেড় হাজার আইসিটি একাডেমি রয়েছে হুয়াওয়ের।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বুয়েটের সহ–উপাচার্য আবদুল জব্বার খান, ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজির (আইআইসিটি) পরিচালক রুবাইয়াত হোসাইন মণ্ডল প্রমুখ।