বিশ্বের জন্য যা করতে চাইছেন শীর্ষ ধনী বেজোস
বিশ্বকে বসবাসের আরও উপযোগী করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী আমাজনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেফ বেজোস। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ২০৪০ সালের মধ্যে তাঁর প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি কার্বন নিঃসরণ থেকে সরে আসবে। এ কাজের অংশ হিসেবে প্রচলিত গাড়ির পরিবর্তে আমাজনের জন্য তিনি এক লাখ বৈদ্যুতিক ডেলিভারি ভ্যান ব্যবহার করবেন। তাঁর বিনিয়োগ করা স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান থেকে এ বৈদ্যুতিক গাড়ি কিনবেন তিনি।
আমাজনের মতো বড় একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনা বড় একটি চ্যালেঞ্জ। কারণ বিশাল গাড়িবহর ব্যবহার করে প্রতি বছর ১০ বিলিয়নের বেশি পণ্য সামগ্রী পরিবহন করে প্রতিষ্ঠানটি।
বেজোস বলেছেন, ‘আমরা জানি যে, আমরা এটা করতে পারব। আমাদের এটা করতে হবে।’
নিউইয়র্কে জলবায়ু সপ্তাহের আগে ওয়াশিংটনে করা এক সংবাদ সম্মেলনে আমাজনের নানা কর্মসূচি সম্পর্কে জানান বেজোস।
বেজোস বলেছেন, প্যারিস জলবায়ু চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের এক দশক আগেই আমাজন লক্ষ্য অর্জন করে ফেলবে।
২০১৭ সালে ট্রাম্প প্রশাসন প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।
আমাজনের প্রধান নির্বাহী বলেন, মার্কিন স্টার্টআপ রিভিয়ান অটোমোটিভ থেকে তিনি বৈদ্যুতিক গাড়ি ফরমাশ দেবেন। ২০৩০ সালের মধ্যে শতভাগ নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করবেন। এখন তাঁর প্রতিষ্ঠান ৪০ ভাগ নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করে।
রিভিয়ানে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে রয়েছে আমাজন ও ফোর্ড মটরস। এ প্রতিষ্ঠান থেকে তৈরি বৈদ্যুতিক ভ্যান ২০২১ সালের মধ্য আমাজনের পণ্য পরিবহন শুরু করবে। ২০২৪ সালের মধ্যে এক লাখ গাড়ি তৈরি হয়ে যাবে।
বেজোস আরও বলেন, বন সুরক্ষা ও নতুন বনায়নে তাঁর প্রতিষ্ঠান ১০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে।
অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদেরও জলবায়ু পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে এগিয়ে আসার জন্য কাজ করার কথা বলেছেন বেজোস।
রিভিয়ানের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তাঁদের তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ি রাস্তায় নামলে ৪০ লাখ মেট্রিক টন কার্বনডাই অক্সাইড নিঃসরণ কমবে।
গত কয়েক মাস ধরে আমাজনের বেশ কিছু কর্মী জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি এড়াতে ভূমিকা রাখার জন্য আমাজনের ওপর চাপ দিচ্ছেন। তথ্যসূত্র: রয়টার্স।