ফেসবুক হতে পারে শিশু পর্নোগ্রাফির মঞ্চ
ফেসবুক শিশু পর্নোগ্রাফির মঞ্চ হয়ে উঠতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এফবিআই) পরিচালক ক্রিস্টোফার রে এ কথা বলে সতর্ক করেছেন। ফেসবুক তাদের জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম ঘিরে যে এনক্রিপশন যুক্ত করার প্রস্তাব করেছে, এতে এটি অনলাইনে নিপীড়নকারী ও শিশু পর্নোগ্রাফির সঙ্গে যুক্ত দুর্বৃত্তদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়ে উঠবে। গতকাল শুক্রবার ওয়াশিংটনে শিশু সুরক্ষা কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের এক সমাবেশে রে এ কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের সাবেক এ কর্মকর্তা বলেন, কোনো মার্কিন বা তাঁদের কোনো প্রতিনিধি নিয়মনীতিহীন এমন জায়গা সৃষ্টি করেননি। বড় একটি কোম্পানির মালিক এ জায়গা সৃষ্টি করেছেন।
ফেসবুক তাদের প্ল্যাটফর্মে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এনক্রিপশন যুক্ত করার পরিকল্পনা করেছে। এ বছর ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম সুরক্ষিত করতে এনক্রিপশন যুক্ত করার কথা বলেন।
বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের বার্তা আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে ডিজিটাল সুরক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল করতে চাপ বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। রে-র এই বক্তব্য ফেসবুকের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে।
রে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানগুলো এনক্রিপশন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য একটা পথ খোলা রাখতে পারে। তা না হলে যেসব শিশুকে সুরক্ষা দেওয়া প্রয়োজন, আমরা তাদের খুঁজে বের করার ক্ষমতা হারাব। দুর্বৃত্তদের খোঁজার পথটাও হারিয়ে যাবে।’
সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ রোজেন অ্যাপলের এনক্রিপশন প্রযুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
২৫ বছর ধরেই এনক্রিপশন প্রযুক্তি নিয়ে বিতর্ক চলছে। তবে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো বার্তা আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় এনক্রিপশন পদ্ধতি ব্যবহার শুরু করায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের উদ্বেগ বেড়ে গেছে। আগে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের কথা বলে কর্মকর্তারা এনক্রিপশনের বিরুদ্ধে প্রচার চালাতেন। তবে আইএস ও উগ্রপন্থী গ্রুপগুলোর কথা বলে এখন আর এনক্রিপশন ঠেকানো যাচ্ছে না বলে তারা শিশুদের অপব্যবহারের যুক্তি দিয়ে ডিভাইসে ঢোকার আইনগত সুবিধা চাইছে।