চীনা পণ্যে শুল্ক চায় না অ্যাপল
চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক না বাড়াতে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে যেসব প্রতিষ্ঠান আরজি জানিয়েছে, সে তালিকায় এবার নাম লেখাল প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল। ওয়াশিংটন বলছে, বেইজিংয়ের সঙ্গে যদি বাণিজ্য চুক্তিতে আসা না যায়, তবে চীনা পণ্যে ৩০০ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ শুল্ক আরোপ করা হবে।
হোয়াইট হাউসে দেওয়া এক চিঠিতে অ্যাপলের পক্ষ থেকে শুল্ক বাড়ানোর পরিকল্পনা থেকে সরে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে। আজ শুক্রবার বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
অ্যাপল কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, চীনা পণ্যের ওপর শুল্কারোপ করা হলে বৈশ্বিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র নষ্ট হবে। শুল্কারোপের ফলে অ্যাপলের মূল পণ্য আইফোন, আইপ্যাড, এয়ারপডের ওপর প্রভাব পড়বে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে এসব পণ্যে মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশের ঘাটতি দেখা দেবে। এসব পণ্যের ওপর তাই শুল্ক না বসানোর আরজি অ্যাপলের। তারা এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে।
অ্যাপলের দাবি, চীনা পণ্যে শুল্কারোপ করলে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
অ্যাপল কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের চীনা প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে হুয়াওয়ের উপস্থিতি সামান্য। যুক্তরাষ্ট্র তাদের ওপর শুল্কারোপ করলে তাতে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না। তাদের ওপর শুল্ক বসালে বৈশ্বিক স্তরে অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী সুবিধা পাবে।
সম্প্রতি মাইক্রোসফট, ডেল, এইচপি ও ইনটেল যৌথভাবে এক বিবৃতিতে বলেছে, চীনা পণ্যের ওপর শুল্কারোপ করা হলে ল্যাপটপ ও ট্যাবলেটের দাম কমপক্ষে ১৯ শতাংশ বেড়ে যাবে।
গত মাসে চীনা পণ্যের ওপর বিলিয়ন ডলারে শুল্কারোপের ঘোষণা দিয়ে বাণিজ্যযুদ্ধ উসকে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। চীনের পক্ষ থেকেও এর পাল্টা জবাব দেওয়া হয়।
গত বছর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও চীন বাণিজ্যযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে। গত মে মাসে চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়েকে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করার পর থেকে এ যুদ্ধ আরও ছড়িয়ে পড়ে। গত মে মাসে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা ব্যর্থ হলে ট্রাম্প প্রশাসন শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা দেয়।