নতুন বছরের যাত্রা শুরু হয়েছে ২০ দিন হলো। এরই মধ্যে প্রথম মহাজাগতিক উপহার নিয়ে হাজির হয়েছে ২০১৯ সাল। কাল সোমবার বাংলাদেশের আকাশে দেখা দেবে রক্তিম নেকড়ে চাঁদ। তবে দিনের বেলায় হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে এই চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে না। এরপর ২০২১ সালের আগে এই চাঁদের দেখা পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
আমেরিকার আদি বাসিন্দাদের কাছে বছরের প্রথম সুপারমুনটি ‘নেকড়ে চাঁদ’ নামে পরিচিত ছিল। তাদের বিশ্বাস, ওই পূর্ণিমায় পৃথিবী চাঁদের আলোয় এতটাই ভেসে যায় যে নেকড়েরা ডেরা থেকে বেরিয়ে ডাকতে শুরু করে।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই রক্তিম নেকড়ে চাঁদ দেখা যাবে। তবে সবচেয়ে ভালো করে দেখা যাবে উত্তর আমেরিকায়। স্থানীয় সময় রোববার রাত ৯টা ৩৬ মিনিটে চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে। তবে রাত ১১টা ৪১ মিনিটের আগে তা দেখা না যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। রোববার দিবাগত রাত ১২টা ৪৩ মিনিটে চন্দ্রগ্রহণ শেষ হবে। যুক্তরাষ্ট্রের পুরো ভূখণ্ড থেকেই এই চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। তবে উত্তর আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের সময় ব্যবধান ১১ ঘণ্টা হওয়ায় এখানে আগামীকাল সোমবার সকাল ৮টা ৩৬ মিনিটে চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে। গ্রহণের স্থায়িত্ব হবে ৬২ মিনিট।
চাঁদ, সূর্য ও পৃথিবী এক সরলরেখায় থাকলে এবং চাঁদের ওপর পৃথিবীর ছায়া পড়লে চন্দ্রগ্রহণ হয়। এ সময় সূর্যরশ্মি ছড়িয়ে পড়ে এবং পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রতিসরিত হয়ে চাঁদের ওপর গিয়ে পড়ে বলে চাঁদকে রক্তিম লাগে। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র নাসার তথ্যমতে, চাঁদ নিজের কক্ষপথে আবর্তনের যে পর্যায়ে পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসে, তখন সুপারমুন দেখা দেয়। এ সময় পৃথিবী থেকে চাঁদকে ১৪ শতাংশ বড় দেখায়। এর উজ্জ্বলতাও বেড়ে যায় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত।