উইন্ডোজে নতুন সেবা যুক্ত করার পাশাপাশি নিরাপত্তা বাড়াতে নিয়মিত হালনাগাদ (আপডেট) উন্মুক্ত করে মাইক্রোসফট। অনেকেরই অভিযোগ, উইন্ডোজ ১০-এর আপডেট ইনস্টল করলেই কম্পিউটারের গতি কমে যায়। সাধারণত ত্রুটিযুক্ত সিস্টেম ফাইল বা ব্যাকগ্রাউন্ডে চলা অ্যাপের কারণে এমনটি হয়ে থাকে। তবে নিচের পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে চাইলেই এ সমস্যার সমাধান করা যায়।
আপডেট আন-ইনস্টল
নতুন আপডেট ইনস্টল করার পর কম্পিউটারের গতি কমে গেলে সেটি আন-ইনস্টল করাই ভালো। মাইক্রোসফটের বিল্ট ইন রোলব্যাক পদ্ধতি ব্যবহার করে সহজেই উইন্ডোজের বিভিন্ন আপডেট আন-ইনস্টল করা যায়। এ জন্য একসঙ্গে Windows ও I চেপে সেটিংস অপশন চালু করে Update & Security মেনুতে ক্লিক করতে হবে। এবার Windows Update অপশন নির্বাচন করে View update history লিংক থেকে Uninstall updates ক্লিক করলেই কম্পিউটারে ইনস্টল হওয়া সব আপডেটের তালিকা দেখা যাবে। তালিকায় থাকা অপ্রয়োজনীয় আপডেটগুলোর ওপর মাউস রেখে ডানে ক্লিক করলেই সেগুলো আন-ইনস্টল হয়ে যাবে।
ক্ষতিগ্রস্ত ফাইল মেরামত
আপডেট ইনস্টলের সময় ইন্টারনেটের ধীরগতি বা বিভিন্ন নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে গুরুত্বপূর্ণ উইন্ডোজ ফাইল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। উইন্ডোজের ডিফল্ট সিস্টেম ফাইল চেকার ব্যবহার করে ক্ষতিগ্রস্ত ফাইলগুলো মেরামত করা যায়। এ জন্য স্টার্ট মেন্যুতে command prompt লিখলেই সার্চ ফলাফলের ডান পাশে কমান্ড প্রম্পট দেখা যাবে। এবার Run as administrator অপশনে ক্লিক করলে কমান্ড প্রম্পট উইন্ডো চালু হবে। এরপর sfc/scannow লিখে এন্টার চাপলেই কম্পিউটারের সিস্টেম ফাইলগুলো স্ক্যান হতে থাকবে। ক্ষতিগ্রস্ত ফাইলের সন্ধান মিললে সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেরামতও হয়ে যাবে। স্ক্যান শেষ হলে কম্পিউটার রিস্টার্ট করতে হবে।
প্রি-ইনস্টল অ্যাপ বন্ধ
উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমে মাইক্রোসফটের ভার্চ্যুয়াল সহকারী কর্টানা, স্কাইপসহ বেশ কিছু প্রি-ইনস্টল অ্যাপ রয়েছে, যেগুলো আপনি ব্যবহার না করলেও স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলতে থাকে। ফলে কম্পিউটারের গতি কমে যায়। অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলো বন্ধের জন্য একসঙ্গে Windows ও I চেপে settings Apps চালু করতে হবে। এবার অ্যাপের তালিকা থেকে Privacy লিংকে ক্লিক করে Background Apps নির্বাচন করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় অ্যাপের পাশে থাকা টোগল মেনুতে ক্লিক করে বন্ধ করার পর কম্পিউটার রিস্টার্ট করতে হবে।