বাংলাদেশে ইন্টারনেট চালু হলো

বাংলাদেশে ইন্টারনেট চালু। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া শুরু হয়। ইন্টারনেট সংযোগদাতা প্রতিষ্ঠান (আইএসপি) ইনফরমেশন সিস্টেম নেটওয়ার্ক (আইএসএন) প্রথম ইন্টারনেট সংযোগ দেয় ৬ জুন।

রয়টার্স

৬ জুন ১৯৯৬
বাংলাদেশে চালু হলো ইন্টারনেট
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া শুরু হয়। ১৯৯৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শেষ দিকে দেশে অনলাইন ইন্টারনেট চালু করার অনুমতি দেওয়া হয়। ঢাকার নিউ ইস্কাটন রোডে অবস্থিত ইন্টারনেট সংযোগদাতা প্রতিষ্ঠান (আইএসপি) ইনফরমেশন সিস্টেম নেটওয়ার্ক (আইএসএন) প্রথম ইন্টারনেট সংযোগ দেয় ৬ জুন। আইএসএনের ডোমেইন নাম বাংলা ডটনেট (bangla.net)।
দেশের প্রথম ইন্টারনেট ছিল ডায়াল-আপ প্রযুক্তির। অর্থাৎ টেলিফোন সংযোগ ব্যবহার করে ইন্টারনেটে যুক্ত হতে হতো। কম্পিউটারে থাকা মডেম (মডিউলেশন-ডিমডিউলেশন) তারের মাধ্যমে টেলিফোন সংযোগের সঙ্গে যুক্ত করতে হতো। এরপর আইএসপির নির্দিষ্ট নম্বরে ডায়াল করে ইন্টারনেটে যুক্ত হওয়া যেত। বাংলাদেশ থেকে তখন ইন্টারনেটে যুক্ত হতে কৃত্রিম উপগ্রহনির্ভর ভি-স্যাট (ভেরি স্মল অ্যাপারচার টার্মিনাল) প্রযুক্তি ব্যবহার হতো। দেশে ভি-স্যাট পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ ছিল সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ তার ও টেলিফোন বোর্ড বিটিটিবির (বর্তমানে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি বা বিটিসিএল) হাতে।
আইএসএনের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম ইকবাল প্রথম আলোকে জানান, ‘শুরুতে ৬৪ কেবিপিএস ব্যান্ডউইডথ পেয়েছিলাম। শুরুর দিকে গ্রাহক প্রান্তে ৬ কেবিপিএস গতি দেওয়া যেত। ৬৪ কেবিপিএসের জন্য ভি-স্যাটের ভাড়া প্রতি মাসে দিতে হতো ১০ হাজার মার্কিন ডলার।’

আইএসএনের প্রথম ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হয় গুলশানের আইটোচু করপোরেশনের কার্যালয়ে। এরপরের চারটি সংযোগ নিয়েছিল যথাক্রমে বারিধি শিপিং লিমিটেড (কারওয়ান বাজার), বিজনেস পয়েন্ট (ইন্দিরা রোড), কন্ট্রা (বিডি) লিমিটেড (নিউ ইস্কাটন রোড) ও এসকোয়ার নিট কমপোজিট লিমিটেড (তেজগাঁও)। তখন ইন্টারনেটের সংযোগ ফি ছিল ১০ হাজার টাকা। আর ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ ধরা হতো প্রতি মিনিটের হিসাবে। প্রতি মিনিট ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ ছিল ৫ টাকা।
১৯৯৬ সালে অনলাইন ইন্টারনেট চালুর দেড়-দুই বছর আগে দেশে সীমিত আকারে ‘অফলাইন’ ইন্টারনেটের ব্যবহার ছিল। অফলাইনে ই-মেইল সেবা পরিচালনা করেছে অগ্নি সিস্টেমস লিমিটেড, প্রদেষ্টা ও দৃক। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) অভ্যন্তরীণ অফলাইন ইন্টারনেট ছিল। এ পদ্ধতিতে সংযোগদাতারা ই-মেইল সংগ্রহ করে নিজেদের সার্ভার থেকে বিদেশের আপস্ট্রিম সার্ভারে পাঠাত। এরপর সেই সার্ভার থেকে ই-মেইলের উত্তর এলে সেটি গ্রাহককে পৌঁছে দেওয়া হতো।
আইএসএনের পর গ্রামীণ-সাইবারনেট, প্রশিকানেটসহ আরও আইএসপির পথ চলা শুরু হয়েছিল।

ভ্যাটিকানের সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার আছে ওয়েবসাইটে
কম্পিউটার হিস্ট্রি ডটওআরজি

৬ জুন ১৯৯৫
ওয়েবে ভ্যাটিকান লাইব্রেরি
ভ্যাটিকান সিটিতে ধর্ম ও প্রযুক্তির মেলবন্ধন হচ্ছে, এমন কথা বলা হয়েছিল দ্য লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসের এক প্রতিবেদনে। কেননা, ভ্যাটিকানে তখন ফাদার লিওনার্ড বোয়েল ভ্যাটিকানের লাইব্রেরিকে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছিলেন। ওয়েবে, অর্থাৎ অনলাইনে ভ্যাটিকানের লাইব্রেরি চালু হয় ১৯৯৫ সালের ৬ জুন। কম্পিউটারকে মধ্যযুগে নিয়ে যাওয়া, আর ভ্যাটিকান লাইব্রেরিকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরা—এমন কথাই বলা হয়েছে এ ঘটনা সম্পর্কে।
ফাদার বোয়েল ভ্যাটিকান লাইব্রেরির ক্যাটালগ, বিভিন্ন পাণ্ডুলিপি ও পেইন্টিংগুলোকে কম্পিউটারাইজড করে ফেলেন এবং সেগুলো ওয়েবসাইট প্রকাশ করেন। এ কাজের আংশিক তহবিল জুগিয়েছে আইবিএম। এখন হাজার হাজার পাণ্ডুলিপি ও ইনকিনাবুলাম (প্রথম দিকে, বিশেষ করে ১৫০১ খ্রিষ্টাব্দের আগে মুদ্রিত গ্রন্থ) ভ্যাটিকান লাইব্রেরির ওয়েবসাইটে রয়েছে।
সূত্র: কম্পিউটার হিস্ট্রি ডটওআরজি

প্রচলিত টেট্রিস গেম দেখতে এমন
উইকিপিডিয়া

৬ জুন ১৯৮৪
রাশিয়ায় প্রথম মুক্তি পায় টেট্রিস গেম
পাজল ঘরানার ভিডিও ও কম্পিউটার গেম টেট্রিস গোটা দুনিয়াতেই জনপ্রিয় একটি গেম। সোভিয়েত সফটওয়্যার প্রকৌশলী আলেক্সি পশোনভ এটি তৈরি করেন। ১৯৮৪ সালের ৬ জুন এটি প্রথম রাশিয়ায় ছাড়া হয়। নানা রকম যন্ত্রে যাতে এই গেম খেলা যায়, সে জন্য বিভিন্ন কোম্পানির মাধ্যমে টেট্রিস বাজারজাত করা হয়েছিল। এ জন্য এর মেধাস্বত্ব নিয়েও ঝামেলা ছিল। জাপানের ভিডিও গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নিনটেনডো টেট্রিস প্রকাশ করার পর ১৯৯৬ সালে পশোনভ মেধাস্বত্ব পান।
টেট্রিস খেলার নিয়ম খুব সহজ। একা একাই (সিঙ্গেল প্লেয়ার) এটা খেলা যায়। টেট্রিস সর্বকালের অন্যতম সেরা ভিডিও গেম হয়ে ওঠে। ২০১১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ২০ কোটি ২০ লাখ টেট্রিস বিক্রি হয়।

অ্যাপল কম্পিউটারের জন্য ইন্টেলের প্রসেসর
উইকিপিডিয়া

৬ জুন ২০০৫
ইন্টেল প্রসেসর ব্যবহারের ঘোষণা দেন স্টিভ জবস
২০০৫ ও ২০০৬ সালে অ্যাপল কম্পিউটার ইনকরপোরেটেড তাদের তৈরি ম্যাক ও এক্সসার্ভ কম্পিউটারে ইন্টেলের প্রসেসর ব্যবহার শুরু করে। এর আগে অ্যাপল পাওয়ার পিসি প্রসেসর ব্যবহার করত। ২০০৫ সালের ৬ জুন অ্যাপলের ওয়ার্ল্ডওয়াইড ডেভেলপার সম্মেলনে অ্যাপলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিভ জবস এ ঘোষণা দেন। এর মাধ্যমে দ্বিতীয়বারের মতো অ্যাপল তাদের প্রসেসর নির্দেশনা বদলে ম্যাক কম্পিউটারের স্থাপত্যশৈলীতে পরিবর্তন আনে। প্রথমবার আনা হয়েছিল ১৯৯৪ সালে। তখন ম্যাকে ব্যবহৃত প্রথম প্রসেসর মটোরোলা ৬৮০০০ সিরিজ বাদ দিয়ে নতুন পাওয়ারপিসি ব্যবহার করা হয়েছিল। সূত্র: কম্পিউটার হোপ