ছোট বা সীমিত পরিসরে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক তৈরি করার ক্ষেত্রে প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে, ভালো মানের নেটওয়ার্কিং যন্ত্রের কথা। কারণ, এখানে নেটওয়ার্ক এবং ল্যান (লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক) রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আলাদা কাউকে নিযুক্ত করা হবে না, তাই ভালো মানের যন্ত্রপাতিই বেছে নিতে হবে। কিছুদিন পরপর যন্ত্র নষ্ট হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
৫ থেকে ১০টি কম্পিউটার নিয়ে কীভাবে ছোট ল্যান তৈরি করা যায়, তা–ই দেখানো হচ্ছে এখানে। এ ক্ষেত্রে দুই ধরনের নেটওয়ার্কের নকশা (ডিজাইন) করা যায়।
১. সব কম্পিউটার ল্যানে যুক্ত করার জন্য একটি রাউটার এবং ৫/৮/১৬ পোর্টের নেটওয়ার্ক সুইচ লাগবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী নেটওয়ার্ক কেব্ল, ইন্টারনেট কেব্ল কানেকটর। সুইচের প্রকারভেদ অনুযায়ী সুইচ নির্বাচন করে নিতে হবে আমাদের।
আইএসপি (ইন্টারনেট সংযোগদাতা) থেকে রাউটারে ইন্টারনেট কনফিগারেশন করে দিয়ে যাবে এবং তাদের কাছ থেকেই ইন্টারনেট কেব্লগুলোর সুইচ এবং কম্পিউটার অংশে ব্যবহার উপযোগী করে নিতে কেব্লের দুই প্রান্তে নেটওয়ার্ক কানেকটর যুক্ত করে নিতে হবে।
আইএসপি থেকে সরাসরি রাউটারে যুক্ত হবে আমাদের ইন্টারনেট কানেকশনটি এবং রাউটার থেকে সুইচে ইন্টারনেট কানেকশন দিতে হবে কেব্লের মাধ্যমে। এরপর প্রয়োজন অনুযায়ী সুইচ থেকে ইন্টারনেট কেব্লের মাধ্যমে কম্পিউটারগুলোতে সংযোগ দিয়ে দেব, অটো ইন্টারনেট সংযোগ পেয়ে যাবে ডিভাইসগুলো।
বাজারে বিভিন্ন ধরনের রাউটার পাওয়া যায় ১ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে, ছোট পরিসরের নেটওয়ার্ক ডিজাইনের ক্ষেত্রে এবং ৫/৮/১৬ পোর্টের সুইচগুলোর দাম ৫০০ টাকা থেকে ৪ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। ইন্টারনেট কেব্ল (Cat5, Cat6) ১৫ টাকা থেকে ৪০ টাকা প্রতি মিটার হয়ে থাকে এবং কেব্ল কানেকটর প্রয়োজন অনুযায়ী ৫ টাকা থেকে ৩০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়।
২. সীমিত পরিসরে চাইলে তারহীন নেটওয়ার্কও তৈরি করা যায়। রাউটার থেকে তারহীন (ওয়্যারলেস) যন্ত্রের মাধ্যমে প্রতিটি কম্পিউটারে নেটওয়ার্ক সংযোগ দিতে হবে। এর জন্য প্রতিটি কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগের জন্য আলাদা ৫ থেকে ১০টি তারহীন যন্ত্রের প্রয়োজন হবে।
তারহীন যন্ত্রগুলো ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যায়।
সবশেষে একটি কথা বলতেই হয়, দামের দিকে না ভেবে যন্ত্রাংশের গুণগত মানের দিকে নজর দিতে হবে বেশি।