ইন্টারনেটের গতি কি আবার কমে গেছে

ইন্টারনেটফাইল ছবি: রয়টার্স

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে বেশ কজন ব্যবহারকারী ফোন করে প্রথম আলোর কাছে ইন্টারনেটের ধীরগতি নিয়ে অভিযোগ জানান। ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ফোর–জি ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিকের চেয়ে কম পাওয়া যাচ্ছে। ইন্টারনেটের গতি পরীক্ষার জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ফাস্ট ডট কম ব্যবহার করে আজ রাত ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বেশ কিছু মুঠোফোনে দেখা যায়, ফোর-জি নেটওয়ার্কে কখনো ৩–৪ এমবিপিএস, কখনো ৬ এমবিপিএস পর্যন্ত গতি পাওয়া যাচ্ছে। এই গতি ফোর-জি ইন্টারনেটের মানগতি নয়।

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটেও কাঙ্ক্ষিত গতি পাওয়া যাচ্ছে না বলে অনেকে জানিয়েছেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ইন্টারনেট ব্যবস্থার নানা দিক তাৎক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করার ওয়েবসাইট ক্লাউডফ্লেয়ার রাডারের লেখচিত্রে দেখা যায়, ১ আগস্ট বাংলাদেশে ইন্টারনেটের গতি ছিল ২০ এমবিপিএসের কম। বেশির ভাগ সময়ই ৭–৮ এমবিপিএসের কম গতি পাওয়া গেছে।

কেন আবার ইন্টারনেটের গতি কমে যাচ্ছে? এ প্রশ্নের উত্তরে ইন্টারনেট সংযোগদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি এমদাদুল হক আজ রাত সোয়া ১১টায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাধারণত সন্ধ্যার পর ট্রাফিক অর্থাৎ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশি থাকে। এটি একটি কারণ হতে পারে। বেশ কয়েক দিন ইন্টারনেট না থাকায় গুগল ক্যাশ বন্ধ ছিল, মেটা ক্যাশ বন্ধ ছিল। এখন সেগুলো হালনাগাদ করতে ব্যান্ডউইডথ লাগছে। দেশে প্রচুর ক্যাশ সার্ভার আছে। এসব হালনাগাদ হওয়ার কারণে ব্যান্ডউইডথ লাগছে। এটিও গতির ওপর প্রভাব ফেলছে। ক্যাশ  হালনাগাদ হতে আরও ২৪ ঘণ্টার মতো সময় লাগতে পারে। আশা করা যায়, আগামীকাল শুক্রবার নাগাদ ইন্টারনেট পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।’

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ও সহিংসতার মধ্যে বাংলাদেশে ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট এবং ১৮ জুলাই রাত ৯টার দিকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ হয়। ২৩ জুলাই রাতে দেশে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়। ২৮ জুলাই বেলা তিনটা থেকে মুঠোফোনে ফোর–জি ইন্টারনেট চালু হয়েছে।