মহাজাগতিক রহস্য সমাধানে নাসার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ
সমস্যা সমাধানে আমরা অনেকেই পরিচিতদের পাশাপাশি অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের পরামর্শ নিয়ে থাকি। মহাজাগতিক একটি রহস্য সমাধানে এবার সাধারণ মানুষের সহযোগিতা চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা—নাসা। নাসার ‘বার্স্ট চেজার’ প্রকল্পের আওতায় ‘গামা-রে বার্স্ট’–এর বিভিন্ন তথ্য খুঁজে বের করতে হবে আগ্রহী ব্যক্তিদের। এর মাধ্যমে নাসা মহাকাশে রহস্যময় এক বিস্ফোরণ সম্পর্কে উত্তর খুঁজবে। আপনিও চাইলে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নাসাকে মহাজাগতিক সেই রহস্য সমাধানে সহায়তা করতে পারেন।
গামা রশ্মি হলো আলোর উজ্জ্বল রূপ। পৃথিবী থেকে কোটি কোটি আলোকবর্ষ দূরে থেকে আসে গামা রশ্মি। মহাজাগতিক আশ্চর্য হিসেবে এসব রশ্মিকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভাবা হয়। স্বেচ্ছাসেবকেরা কাজের অংশ হিসেবে ধীরগতির গামা রশ্মির খোঁজ করবেন। নিল গেহরেল সুইফট অবজারভেটরি টেলিস্কোপ শনাক্ত করা রশ্মিগুলো পর্যবেক্ষণ করবেন তারা। পর্যবেক্ষণ করা তথ্যগুলো প্রকল্পের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
গামা রশ্মি ১৯৬০–এর দশকে প্রথম আবিষ্কৃত হয়। গামা-রে বার্স্টের মতো বড় আকারের বিস্ফোরণের কারণ কী, তা খুঁজে বের করার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই গবেষকেরা কাজ করছেন। তারা বা কৃষ্ণগহ্বর যখন ধ্বংস হয়ে যায়, তখন সেখান থেকে আলোর গতির কাছাকাছি বেগে নানা উপাদান বের হয়ে আসে। এ সময় শক্তিশালী উজ্জ্বল ও স্বল্প স্থায়ী গামা রশ্মির আলোকচ্ছটা তৈরি হয়। পৃথিবীকে প্রদক্ষিণকারী উপগ্রহ থেকেই এই আলো শনাক্ত করা যায়। এসব রশ্মি কোনো চৌম্বক ক্ষেত্রে সরাসরি ধরা পড়ে না।
মহাবিশ্বজুড়ে কয়েক লাখ বছর ভ্রমণ করা এসব আলো পৃথিবীর বুকে থাকা টেলিস্কোপের মাধ্যমে দেখা যায়। গামা রশ্মি কীভাবে তৈরি হচ্ছে, তা নিয়ে এখনো রহস্য রয়েছে। আর তাই গামা রশ্মি সম্পর্কে ভালোভাবে বোঝার জন্য সাহায্যকারী খুঁজছে নাসা। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার টাম্পা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অ্যামি লিয়েন জানিয়েছেন, গামা রশ্মির স্পন্দন আসলে কী, সে সম্পর্কে আরও তথ্যের প্রয়োজন। স্পন্দন শ্রেণিবদ্ধ করতে আপনার সাহায্য প্রয়োজন। পৃথিবীতে এমন বিস্ফোরণের পরীক্ষা করা যায় না। কীভাবে মহাবিশ্ব গঠিত হয়েছে ও বিকশিত হয়েছে, তা জানতে সহযোগিতা করতে পারে এসব বিস্ফোরণের তথ্য। বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে এই ঠিকানায়।
সূত্র: ডেইলি মেইল ও নাসা