মঙ্গল গ্রহে বিশাল আগ্নেয়গিরি, নিচে হিমবাহ থাকারও সম্ভাবনা
মঙ্গল গ্রহে বিশাল এক আগ্নেয়গিরির সন্ধান পেয়েছেন জ্যোতির্বিদেরা। আগ্নেয়গিরিটি মঙ্গল গ্রহের নিরক্ষরেখার ঠিক দক্ষিণ দিকে অবস্থিত। সেখানে অ্যাসক্রেয়াস মনস, পাভোনিস মনস ও আরসিয়া মনস নামের আরও তিনটি আগ্নেয়গিরি রয়েছে। আগে সন্ধান পাওয়া তিনটি আগ্নেয়গিরি বেশি ক্ষয়প্রাপ্ত ও কম উচ্চতার হলেও নতুন আগ্নেয়গিরিটি বেশ বড়। প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার ব্যাসের আগ্নেয়গিরিটির নিচে হিমবাহ থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন জ্যোতির্বিদেরা।
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের উডল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ৫৫তম চন্দ্র ও গ্রহবিজ্ঞান সম্মেলনে জ্যোতির্বিদেরা জানিয়েছেন, নোকটিস আগ্নেয়গিরির উচ্চতা প্রায় ৯ হাজার ২২ মিটার। আগ্নেয়গিরিটি দীর্ঘদিন সক্রিয় ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী প্যাসকেল লি বলেন, ‘আমরা গত বছর মঙ্গল গ্রহে একটি হিমবাহের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পেয়েছিলাম। ব্যাপক অনুসন্ধানের পর আমরা বুঝতে পারি, সেখানে একটি বিশাল আগ্নেয়গিরি রয়েছে। মঙ্গল গ্রহের এ অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের হাইড্রেটেড খনিজ রয়েছে। এসব খনিজ আগ্নেয়গিরি থেকেই এসেছে। নতুন আগ্নেয়গিরি ও সম্ভাব্য হিমবাহের আবিষ্কার বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। আমরা মঙ্গল গ্রহের ভূতাত্ত্বিক বিবর্তন অধ্যয়নের সুযোগ পাব।’
নাসার মার্স গ্লোবাল সার্ভেয়ারের তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে আগ্নেয়গিরির অবস্থান শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জ্যোতির্বিদেরা। ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির মার্স এক্সপ্রেস হাইরেজল্যুশন স্টেরিও ক্যামেরা ব্যবহার করে নোকটিস আগ্নেয়গিরির বিভিন্ন ছবিও তুলেছেন তাঁরা। ছবিগুলো বিশ্লেষণ করে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের গবেষক সৌরভ শুভম বলেন, আগ্নেয়গিরির মধ্যে অনেক ঢিবি রয়েছে। এসব ঢিবি থেকে গরম আগ্নেয় পদার্থ বের হতো।
সূত্র: ফিজিস ডট অর্গ