সুডোকু মেলালে কি বয়স কমে?

সুডোকুপেক্সেলস

সকালে ঘুম থেকে উঠেই দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সুডোকু মিলিয়ে দিন শুরু করেন অনেকে। শখের বশে সুডোকুর ধাঁধা বা ক্রসওয়ার্ড সমাধান করা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ কার্যকর। নিয়মিত ক্রসওয়ার্ড পাজল বা সুডোকু মেলানো ব্যক্তিদের তীক্ষ্ণ জ্ঞান থাকার পাশাপাশি তাঁদের মস্তিষ্কের বয়স প্রায় ১০ বছর কম হয়ে থাকে। ফলে বেশি দিন কার্যকর থাকে মস্তিষ্কের ক্ষমতা। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব জেরিয়াট্রিক সাইকিয়াট্রিতে এমনই এক গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষণার তথ্য মতে, ৫০ বছরের বেশি বয়সী মানুষ যত বেশি সুডোকুর মতো ক্রসওয়ার্ড গেম খেলেন, তাঁদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা তত ভালো হয়। গবেষণায় প্রায় ১৯ হাজার ১০০ জন অংশগ্রহণকারীর মনোযোগ, স্মৃতিশক্তি এবং যুক্তি বিশ্লেষণক্ষমতা পর্যালোচনা করা হয়। দেখা গেছে, যারা নিয়মিত ধাঁধা মেলান তাঁদের মস্তিষ্ক বয়সের তুলনায় ১০ বছরের কম হয়ে থাকে। তবে স্বল্পমেয়াদি স্মৃতির পরীক্ষায় ধাঁধা সমাধানকারীদের মস্তিষ্ক বয়সের তুলনায় আট বছরের কম হয় বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটার মেডিকেল স্কুলের ডিমেনশিয়া–বিষয়ক গবেষক অ্যান করবেট বলেন, যাঁরা সুডোকুর মতো ধাঁধা মেলাতে পারেন, তাঁদের কাজ করার গতি বেশি হয়। তাঁরা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। যদিও এই ধাঁধা সমাধান করলে পরবর্তী জীবনে ডিমেনশিয়া হওয়ার ঝুঁকি কমে যায় বলে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে শব্দ ও সংখ্যার ধাঁধা নিয়মিত সমাধান করলে আমাদের মস্তিষ্ক দীর্ঘ সময়ের জন্য আরও ভালোভাবে কাজ করতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ফ্লোরিডা ইন টাম্পার ব্রেন গেম ও কগনিশন বিজ্ঞানী জেরি ডি এডওয়ার্ডস বলেন, সম্ভবত যাঁরা এই ধরনের সমাধানযুক্ত কাজ করতে পছন্দ করেন, তাঁদের মস্তিষ্ক বেশি কার্যকর থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত কাজ করার ক্ষমতা, মানসিক সচেতনতা আর মনোযোগ দক্ষতা কমতে থাকে। সুডোকু মেলানোর মতো কাজ আমাদের মস্তিষ্ককে সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সুডোকুর মতো ধাঁধা ডিমেনশিয়া সংকটের ঝুঁকি কমাতে পারে।

সূত্র: হেলথ লাইন