টার্মিনেটর সিনেমার ৪০ বছর, রোবট কি সত্যিই মানবসভ্যতার জন্য হুমকি হবে

টার্মিনেটর রোবট রেপ্লিকার সামনে আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগারছবি: রয়টার্স

১৯৮৪ সালের ২৬ অক্টোবর মুক্তি পায় জেমস ক্যামেরনের সায়েন্স ফিকশন সিনেসা ‘দ্য টার্মিনেটর’। আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগার অভিনীত টার্মিনেটর সিনেমায় দেখা যায়, মানুষের ছদ্মবেশে রোবট মানুষকেই হত্যা করছে। ‘দ্য টার্মিনেটর’ সিনেমার ৪০ বছর পর কল্পবিজ্ঞানের মতো না হলেও রোবটের অনেক অগ্রগতি হয়েছে। মানুষকে হত্যাকারী রোবটের উত্থান নিয়ে শঙ্কাও দেখা যাচ্ছে। তবে আলোচিত মার্কিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্কসহ অনেক বিশেষজ্ঞই রোবটের পরিবর্তে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি মানবসভ্যতাকে ধ্বংস করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন।

ডেটা নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান জেএমএন গ্রুপের অংশীদার নাটালি ক্র্যাম্প জানিয়েছেন, টার্মিনেটরের মতো যন্ত্র তৈরি সম্ভব। যদিও তা সৌভাগ্যক্রমে আমাদের জীবদ্দশায় দেখতে হবে না। ভবিষ্যতে যেকোনো কিছুই হতে পারে। আমরা রোবোটিকসের সেই স্তর থেকে অনেক পেছনে রয়েছি, যেখানে টার্মিনেটর-সদৃশ যন্ত্র মানবসভ্যতা ধ্বংস করার ক্ষমতা পাবে। টার্মিনেটরের মতো একটি রোবট তৈরি করতে অনেক বাধা রয়েছে। এ ধরনের রোবট পরিচালনায় শক্তি ও গতির সমন্বয় করা কিছুটা কঠিন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, টার্মিনেটরের মতো মানবাকৃতির রোবট এই মুহূর্তে রোবোটিকস ও এআই দিয়ে তৈরির সম্ভাবনা নেই। ‘টার্মিনেটর’ সিনেমায় দেখা যায়, অস্ত্র আর দুর্ভেদ্য ধাতব কঙ্কালের মাধ্যমে রোবট মানুষের বিরুদ্ধে লড়ছে। এমন রোবট বাস্তবে নির্মাণ করা কঠিন। আর তাই টার্মিনেটর রোবটের চেয়ে বর্তমানে ড্রোন আর স্বায়ত্তশাসিত গাড়ির প্রযুক্তি বেশি হুমকি তৈরি করেছে। এআই প্রযুক্তিনির্ভর বিভিন্ন যন্ত্র আমাদের ক্ষতি করতে পারে।

যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অধ্যাপক মার্ক লি বলেন, টার্মিনেটর ঘরানার আক্রমণ ঘটতে পারে, যখন কোনো সরকার নিজেদের প্রতিরক্ষা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ এআই প্রযুক্তির হাতে তুলে দেওয়ার মতো পাগলামি করবে। আমি মনে করি না এমন কোনো পাগল জাতি আছে।

সূত্র: ডেইলি মেইল