বেসিসের রজতজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের শপথ
১৯৯৮ সালের ১৩ আগস্ট প্রতিষ্ঠিত হয় সফটওয়্যার ব্যবসা খাতের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। সময়ের হিসাবে রজতজয়ন্তী পার করেছে সংগঠন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীতে ২৫ বছর পূর্তি উদ্যাপন করেছেন বেসিস। এ সময় সরকারের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়ন করার ও অর্থনীতে আরও অবদান রাখার শপথ নেন বেসিসের সদস্যরা। আজ রোববার বেসিসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এই আনন্দ আয়োজনে বেসিসের প্রতিষ্ঠাতাকালীন সভাপতি এম এ তৌহিদ, সাবেক সভাপতি এস এম কামাল, মাহবুব জামান, হাবিবুল্লাহ এন করিম, মোস্তাফা জব্বার, রফিকুল ইসলাম, এ কে এম ফাহিম মাশরুর, শামীম আহসান ও সৈয়দ আলমাস কবীর এবং বর্তমান সভাপতি রাসেল টি আহমেদকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। তাঁদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক। এ সময় সাবেক সভাপতিরা সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের আর্থিক প্রণোদনা ৮ শতাংশের বেশি বাড়াতে ও ২০৩১ সাল পর্যন্ত তথ্যপ্রযুক্তি ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা (আইটিইএস) খাতকে করপোরেট করমুক্ত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরি, শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার ধর্মপালা বিরাক্কডিসহ মার্কিন দূতাবাস, ফ্রান্স দূতাবাস ও কোটরার প্রতিনিধিরা।
অনুষ্ঠানে জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেন, ‘বন্ধু এবং সহযোগী হয়ে বেসিসের উদ্যোক্তারা অবদান রেখেছিলেন বলেই আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। বেসিসের সদস্য ২ হাজার ৫০০ প্রতিষ্ঠান প্রায় ৩ লাখ তরুণের কর্মসংস্থান তৈরি করেছে। একে আমরা ১০ লাখে উন্নীত করতে চাই। একই সময়ের মধ্যে ১০০ কোটি ডলারের বৈদেশিক বিনিয়োগ আনতে চাই।’
অনুষ্ঠানে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘বেসিসের এই মাইলফলক ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দীর্ঘ ও অবিচল যাত্রার প্রতিফলন, উদ্ভাবন, সৃজনশীলতা ও সাহসিকতার গল্প।’
রাসেল টি আহমেদ বলেন, ‘আমরা সবার সঙ্গে উদ্যাপনের আনন্দ ভাগ করে নিতে চাই। আমরা একসঙ্গে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যবসা সম্প্রসারণের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখব।’
বেসিসের ২৫ বছর পূর্তি উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক সামিরা জুবেরী বলেন, ‘যে জেআরসি (জামিলুর রেজা চৌধুরী) কমিটির প্রতিবেদনের সুপারিশের ওপর ভিত্তি করে ১৯৯৮ সালে বেসিস প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সেই প্রতিবেদন ও বেসিস—দুটিরই ২৫ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। বর্তমানে বেসিস একটি শক্ত অবস্থানে দাঁড়িয়েছে। আগামী ২৫ বছরের জন্য একটি মহাপরিকল্পনা করে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।’