আগামী বছর রোবট দিয়ে ত্রাণ দেবে জাতিসংঘ
দুর্যোগময় ও সংঘাতপূর্ণ স্থানে ত্রাণ বা খাদ্যসহায়তা দেওয়ার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক রোবট ব্যবহার করবে জাতিসংঘ। কর্মীদের জীবনের ঝুঁকি এড়াতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) একজন কর্মকর্তা। জাতিসংঘ বলছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাতিসংঘের সহায়তা কর্মীরা আক্রমণের শিকার হয়েছেন। এমনকি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এ ধরনের সহিংসতার ঘটনাও বেড়েছে। সুদানের এক সহিংসতায় এই বছরের শুরুতে জাতিসংঘের খাদ্যসহায়তা সংস্থা ডব্লিউএফপির তিনজন কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন।
ডব্লিউএফপির উদ্ভাবন বিভাগের প্রধান বার্নহার্ড কোওয়াটস বলেছেন, কখনো কখনো আমাদের কর্মী বা গাড়িচালককে ত্রাণ দেওয়ার জন্য এসব স্থানে পাঠানো বিপজ্জনক হয়ে পড়ে। এ জন্য এসব স্থানে ত্রাণ বা সহায়তা পৌঁছাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার করা হবে।
ক্ষুধা নির্মূলে জাতিসংঘের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য এআই কীভাবে সহায়তা করতে পারে, এ বিষয়ে জেনেভায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (আইটিইউ) আয়োজিত এক সম্মেলনে এসব কথা বলেন কোওয়াটস। তিনি বলেন, ‘২০১২ থেকে ২০১৬ সালে যুদ্ধের সময় সিরিয়ার আলেপ্পোতে জাতিসংঘের কর্মীরা শহরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। তখন খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দেওয়া তাদের জন্য কঠিন হয়েছিল। তখন আমরা বিষয়টি নিয়ে ভাবতে শুরু করি। আকাশ থেকে ত্রাণ দেওয়াটা বেশ ব্যয়বহুল।
আর এর জন্য বিস্তৃত জায়গার প্রয়োজন হয়। সিরিয়ায় এমন জায়গারও সংকট ছিল।’
জাতিসংঘ এখন দক্ষিণ সুদানে খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দিতে ৫০টি বাহন ব্যবহার করছে। দুটি প্রকল্পের আওতায় চালক ছাড়াই এসব গাড়ি চালানোর জন্য আগামী বছর থেকে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালাবে ডব্লিউএফপি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে স্যাটেলাইট এবং সেন্সরের সাহায্যে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এ তথ্য কাজে লাগিয়ে দূর থেকে এসব যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
দক্ষিণ সুদানে প্রায় ৭৭ লাখ মানুষ খাদ্যসংকটে ভুগছে। এ ছাড়া তারা বন্যারও শিকার। ত্রাণ পৌঁছে দিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার শুরু হবে এখান থেকেই।
সূত্র: রয়টার্স