নতুন উদ্যোগের জন্যই কি ওপেনএআই থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো স্যাম অল্টম্যানকে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিভিত্তিক পণ্য চ্যাটজিপিটির মূল প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে স্যাম অল্টম্যানকে। এ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ায় প্রযুক্তি–দুনিয়ায় শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা। এআই প্রযুক্তির যন্ত্রাংশ তৈরির অল্টম্যানের নিজের উদ্যোগের জন্য তিনি বিনিয়োগ খোঁজা শুরু করেছেন বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সিমাফোর।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের কেউ কেউ ধারণা করছেন, অল্টম্যানের নতুন উদ্যোগের জন্যই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের এক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান থেকে নিজের নতুন উদ্যোগের জন্য বিনিয়োগ সংগ্রহে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন অল্টম্যান। চিপ নির্মাতা এনভিডিয়াকে টেক্কা দিতে এআই চিপ তৈরির জন্য নতুন উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছেন তিনি।
ওপেনএআই অবশ্য ভিন্ন কথা বলছে। তারা এক ব্লগে জানিয়েছে, বোর্ডের (পরিচালনা পর্ষদ) সদস্যরা কয়েক দফায় পর্যালোচনা করে এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। বোর্ড সদস্যদের সঙ্গে স্যামের যোগাযোগের ঘাটতি ছিল। এ দায়িত্ব তিনি ঠিকভাবে পালন করেননি। বোর্ড মনে করে স্যাম অল্টম্যান ওপেনএআইকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো সক্ষমতা হারিয়েছেন।
অন্তর্বর্তী এ সময়ে স্যাম অল্টম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) মিরা মুরাতি। তবে স্থায়ী সিইও নিয়োগের জন্য ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ওপেনএআইয়ের যোগাযোগ বিভাগের সঙ্গে এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম যোগাযোগ করলেও তাঁরা বিবৃতির বাইরে কোনো তথ্য দেননি। তবে জানা গেছে, এ প্রক্রিয়া এমনভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে যে বিবৃতি প্রকাশের পরপরই প্রতিষ্ঠানের কর্মীরাও সংবাদটি জানতে পেরেছেন।
এদিকে স্যাম অল্টম্যান এক্স বার্তায় লিখেছেন, ‘ওপেনএআইয়ের কাটানো সময় খুব ভালো ছিল। বিশ্বে অনেক কিছুরই পরিবর্তন হয়। তেমনি এটা আমার ব্যক্তিগত জীবনের একটা পরিবর্তন। ওপেনএআইয়ে আমি অনেক প্রতিভাবান মানুষের সঙ্গে কাজ করতে পেরেছি, এটা অনেক ভালো লাগার। আমার পরবর্তী গন্তব্য সম্পর্কে পরে জানাব।’
এদিকে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) স্যাম অল্টম্যানকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনার পরই পদ ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট ও সহপ্রতিষ্ঠাতা গ্রেগ ব্রোকম্যান।
স্যাম অল্টম্যানের সঙ্গে ওপেনএআইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং কো-চেয়ার হিসেবে কাজ করা ইলন মাস্ক ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠানটি থেকে সরে যান।
সূত্র: দ্য ভার্জ, সিমাফর ডটকম ও টাইমস অব ইন্ডিয়া