নদীর পানিতে অ্যান্টিবায়োটিকের মাত্রা বাড়ছে, বাংলাদেশের নদীর পানি কি নিরাপদ

বিভিন্ন দেশের নদীর পানিতে অ্যান্টিবায়োটিকের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছেছবি: রয়টার্স

বিভিন্ন দেশের নদীর পানিতে অ্যান্টিবায়োটিকের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন গবেষকেরা। যুক্তরাজ্যের ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক দেশটির বিভিন্ন নদীর পানি বিশ্লেষণ করে দাবি করেছেন, বিপজ্জনক ওষুধের উপাদান গ্রামাঞ্চলের নদীর পানিকে দূষিত করছে। নদীতে অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টস ও অ্যান্টিবায়োটিকের মতো ওষুধের দূষণ দেখা যাচ্ছে। ৫৪টি স্থানের মধ্যে ৫২টি স্থানে নদীর পানিতে ওষুধের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এসব ওষুধ মিঠাপানির জীব ও পানির সংস্পর্শে আসা মানুষের জন্য উদ্বেগজনক বলে মনে করেন তাঁরা।

ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা জানিয়েছেন, নদীর পানিতে অ্যান্টিবায়োটিকের ঘনত্ব অনেক বেশি। ফলে সাঁতারসহ বিভিন্ন খেলার জন্য নদীর পানি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলা যায়। নদীতে ২৯টি ওষুধের সক্রিয় উপাদান শনাক্ত করা হয়েছে। এসবের মধ্যে অ্যান্টিহিস্টামাইনস, টু ডায়াবেটিসের চিকিৎসার ওষুধ মেটফর্মিনসহ বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিক যুক্তরাজ্যের প্রায় সব নদীতে পাওয়া গেছে।

ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এর আগে ৭২টি দেশের বিভিন্ন নদীর পানি বিশ্লেষণ করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলেন। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৬৫ ভাগ নদীর পানিতে অ্যান্টিবায়োটিকের সন্ধান পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ, কেনিয়া, ঘানা, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের নদীর পানি নিরাপদ মাত্রার চেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশের নদীর পানিতে সবচেয়ে ভয়ানক মেট্রোনিডাজলের খোঁজ পাওয়া গেছে। এই ওষুধ ত্বক ও মুখের ক্ষত নিরাময়ে ব্যবহার করা হয়। নিরাপদ মাত্রার চেয়ে প্রায় ৩০০ গুণ বেশি মাত্রায় বাংলাদেশের নদীর পানিতে এই অ্যান্টিবায়োটিকের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

সূত্র: বিবিসি ও সিএনএন