ঘরে বসে বিদেশের তথ্যপ্রযুক্তির নানা কাজ করে আয় করেন ফ্রিল্যান্সার বা মুক্ত পেশাজীবীরা। তাই ফ্রিল্যান্সিং করাকে পুরোদস্তুর পেশা হিসেবে নিয়েছেন অনেকেই। সফলও হচ্ছেন তাঁরা।
তাঁদের সাফল্য দেখে অনেকেই সরকারি বা বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে কাজ খুঁজে থাকেন। তবে নতুনদের অনেকেই না জেনে ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে বিভিন্ন ক্লায়েন্টের মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হয়ে থাকেন।
নতুন ফ্রিল্যান্সারদের অনেকেরই নির্দিষ্ট কাজে দক্ষতা না থাকায় টাইপের কাজ করে দ্রুত আয় করতে চান। আর তাঁদের এই দুর্বলতার সুযোগ নেন মার্কেটপ্লেসে থাকা অনেক ক্লায়েন্ট। কাজ দেওয়ার নামে বেশ কিছু শর্তও দেন তাঁরা, যার মধ্যে অর্থ জামানত রাখা অন্যতম।
১০ থেকে ২০০ ডলার জমা রাখলেই পৃষ্ঠাপ্রতি ৮০ ডলার পর্যন্ত পারিশ্রমিক দেওয়ার প্রলোভন দেখান তাঁরা। ফলে নতুন ফ্রিল্যান্সাররা হন্যে হয়ে চেষ্টা করেন কীভাবে জামানতের অর্থ পাঠানো যায়। এখানেই সব থেকে বড় ভুল করেন নতুন ফ্রিল্যান্সরা। কারণ, ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে টাকা জামানত রাখা বেশির ভাগ মানুষ প্রতারণার শিকার হন। বিষয়টি জানা থাকায় এসব ক্লায়েন্টকে এড়িয়ে চলেন মার্কেটপ্লেসে দীর্ঘদিন কাজ করা ফ্রিল্যান্সাররা। তবে নতুনেরা দ্রুত আয় করার আশায় প্রতারকদের দেওয়া ফাঁদে পা দেন।
মনে রাখতে হবে ভালো ক্লায়েন্টরা সব সময় ভালো মানের কাজ চান। এ জন্য তাঁরা আপনার যোগ্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে বিভিন্ন কাজের নমুনা পরীক্ষা করেন। দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা যাচাই করেই কাজ দেন তাঁরা। কখনোই ফ্রিল্যান্সারদের অর্থ জামানত রাখতে বলেন না। তাই ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে নিরাপদ থাকতে ক্লায়েন্ট কোন ধরনের কাজ আপনাকে দিয়ে করাতে চাইছেন বা তাঁর শর্ত সম্পর্কে আগে থেকেই ভালোভাবে জানতে হবে।
ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে নিরাপদ থাকতে যা জানতে হবে:
কোনো অবস্থাতেই ক্লায়েন্টের সঙ্গে মার্কেটপ্লেসের বাইরে যোগাযোগ করা যাবে না (নতুনদের জন্য)।
মার্কেটপ্লেসে কাজ করার জন্য কোনো ধরনের জামানত দিতে হয় না।
টাইপ করার কাজ এড়িয়ে চলা।
ক্লায়েন্টের পেমেন্ট অপশন মার্কেটপ্লেসে যাচাই করা আছে কি না, তা পরীক্ষা করা।
মার্কেটপ্লেসে ক্লায়েন্টের কাজ দেওয়ার ইতিহাস যাচাই করা।