ই-কমার্স ও এফ-কমার্স উদ্যোক্তা হওয়ার কৌশল নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত
অনলাইন ও ফেসবুকভিত্তিক ফ্যাশন পণ্যের উদ্যোগ লাইভ শপিং গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বনানীতে দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করে। ব্যবসায় উদ্যোগ শুরু করতে চান এমন ৬০০ তরুণ এই কর্মশালায় অংশ নেন। দেশের তিনটি বিভাগে আটটি শাখা রয়েছে লাইভ শপিংয়ের। এ ছাড়া অনলাইনেও চলে তাদের বেচাকেনা।
কর্মশালার বিষয় ছিল ‘বেকার তরুণ প্রজন্মকে ব্যবসামুখী করার উপায়’। কর্মশালায় অংশ নেওয়া তরুণ ও প্রবাসী উদ্যোক্তারা লাইভ শপিংয়ের সঙ্গে যৌথভাবে নিজ নিজ এলাকায় ‘স্থানীয় অংশীদার’ হিসেবে লাইভ শপিং-এর পণ্য নিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ পাবেন।
২০২০ সালে করোনা মহামারির সময় লকডাউনে যখন পুরো দেশ বন্ধ, তখন বাসায় বসে আশিক খান অনলাইনে লাইভ করা শুরু করেন ও মানুষকে ফ্যাশন ধারণা দিতে থাকেন। সেই সময়ই যাত্রা শুরু করে লাইভ শপিং।
কর্মশালা আয়োজন সম্পর্কে লাইভ শপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকতা আশিক খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিভিন্ন এলাকায় লাইভ শপিংয়ের শাখা খোলার অনুরোধ আসে। সেগুলো বিবেচনা করে এই কর্মশালার আয়োজন করি।’
কর্মশালায় এক প্রশ্নের জবাবে আশিক খান বলেন, ‘ক্রেতার চাহিদাকে প্রথম থেকেই গুরুত্ব দিয়েছি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখন আমাদের সঙ্গে ৩৫ লাখ মানুষ যুক্ত আছেন। আমরা গণমানুষের ব্র্যান্ড, আমাদের পণ্য মানুষ সাধ্যের মধ্যে কিনতে পারেন। কোনো অগ্রিম ছাড়াই ক্রেতাদের ঘরে পণ্য পৌঁছে দিই। সাত দিনের মধ্য পণ্য ফেরত ও মূল্য ফেরতের সুবিধাও দিচ্ছি।’
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য ছিল নতুন ব্যবসায়িক চুক্তি এবং উদ্ভাবনী পণ্য সরবরাহের সুযোগ। পাশাপাশি নতুন উদ্যোক্তারা লাইভ শপিংয়ের মাধ্যমে ব্যবসা শুরু ও পরিচালনা করার প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা পান এই আয়োজনে।