ই–ক্যাবের সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করলেন শমী কায়সার

শমী কায়সারছবি: সংগৃহীত

দেশের ই–কর্মাস প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ই–কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই–ক্যাব) সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন শমী কায়সার। আজ মঙ্গলবার সংগঠনের প্যাডে ই-ক্যাবের নির্বাহী পরিষদ বরাবর এক লেখা চিঠির মাধ্যমে তিনি পদত্যাগ করেন। পদত্যাগপত্রটি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করার অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি।

পদত্যাগপত্রে শমী কায়সার উল্লেখ করেছেন, ‘বর্তমানে নিজের শারীরিক অবস্থা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আমি ই–ক্যাব সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করছি এবং তাৎক্ষণিকভাবে পদত্যাগপত্রটি কার্যকর করার অনুরোধ করছি। নির্বাচনের আগপর্যন্ত কার্য পরিচালনা চলমান রাখার জন্য আমার অবর্তমানে বর্তমান ইসি (ই–ক্যাবের নির্বাহী কমিটি) দায়িত্ব পালন করবে।’ পদত্যাগের ব্যাপারে জানতে শমী কায়সারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করে সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

শমী কায়সারের পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ই–ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক নাসিমা আক্তার। আজ রাতে মুঠোফোনে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ব্যক্তিগত কারণে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না জানিয়ে তিনি (শমী কায়সার) পদত্যাগ করেছেন। আমরা নির্বাহী কমিটির সভা করে পরে সিদ্ধান্ত নেব। তবে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সংগঠনের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করার কথা।’

ই–ক্যাবের সভাপতি পদ থেকে শমী কায়সারের পদত্যাগ
সংগৃহীত

নাসিমা আক্তার আরও বলেন, ‘ই–ক্যাবের বিকাশে শমী কায়সারের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। বিশেষ করে করোনা মহামারির সময় ই–কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে কার্যকর রাখতে তিনি ভূমিকা রাখেন। এমনকি গত মাসে ছাত্র–জনতার আন্দোলনের সময় যখন ইন্টারনেট ও ফেসবুক বন্ধ ছিল, তখনো তিনি এগুলো চালু রাখার জন্য আমাদের নিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বিটিআরসিতে দেনদরবার করেছেন।’

২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো ই–ক্যাবের সভাপতির দায়িত্ব পান শমী কায়সার। ২০২২ সালে সংগঠনটির প্রথম সরাসরি নির্বাচনে শমীর নেতৃত্বাধীন প্যানেল সংখ্যাগরিষ্ঠ পায় এবং তিনি ২০২২–২৪ মেয়াদে সভাপতি নির্বাচিত হন। ই–ক্যাবের ২০২৪–২৬ মেয়াদের নির্বাহী কমিটির নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল গত ২৭ জুলাই। এতেও শমী কায়সারের নেতৃত্বে একটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিল। দেশের পরিস্থিতির কারণে এই নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।