দেশে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো স্টারলিংকের ইন্টারনেট
আজ বুধবার বাংলাদেশে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে স্টারলিংকের ইন্টারনেট–সেবা চালু করা হয়েছে। রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট প্রাঙ্গণ থেকে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান স্টারলিংকের ইন্টারনেট ব্যবহার করা গেছে।
সামিটে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিএল) স্টলে বিশেষ কিউআর কোড ব্যবহার করে দর্শনার্থীরা বিনা মূল্যে স্যাটেলাইট-চালিত ইন্টারনেট প্রযুক্তির গতি পরীক্ষার সুযোগ পেয়েছেন। স্টারলিংকের ইন্টারনেট–সেবা পরীক্ষার সুযোগ পাওয়া জাহিদুর রাব্বী প্রথম আলোকে বলেন, ‘সামিটে এসে স্টারলিংকের ইন্টারনেট–সেবার গতি পরীক্ষা করেছি নিজের মোবাইল থেকে। ফাস্টডটকম থেকে ইন্টারনেটের গতি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ২২০ মেগাবিট পার সেকেন্ড (এমবিপিএস) গতি ও সর্বনিম্ন ১৭০ এমবিপিএস গতি পাওয়া গেছে। বাংলাদেশে স্টারলিংকের যে ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হচ্ছে, তা মালয়েশিয়ান আইআইডি থেকে যুক্ত করা হয়েছে। আমি যখন স্টলে যাই, তখন একসঙ্গে ৪৫ জনের মতো সংযুক্ত ছিলাম। সবাই বেশ আগ্রহ নিয়ে স্টারলিংকের ইন্টারনেট–সেবা পরীক্ষা করছে। পুরো সামিট প্রাঙ্গণেই স্টারলিংকের ইন্টারনেট–সেবা ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।’
সামিটের বিএসসিএলের স্টলে স্টারলিংক রিসিভার ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ প্রদর্শন করা হচ্ছে। সামিটে আসা প্রযুক্তি পেশাজীবী জারিফ ফাইয়াজ বলেন, ‘স্টলে স্টারলিংকের ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ দেখলাম। তবে কবে বাসাবাড়িতে ব্যবহারের সুযোগ আসবে, তা জানা যায়নি। এমনকি কেমন খরচ হবে, এ বিষয়েও কেউ কোনো তথ্য দিতে পারছেন না।’
গত ২৯ মার্চ স্টারলিংক বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিআইডিএ) থেকে বিনিয়োগ নিবন্ধনের অনুমোদন পায়। স্টারলিংককে কার্যক্রম শুরু করার জন্য ৯০ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অনুমতি পাওয়ার পরই স্টারলিংক ইন্টারনেট–সেবা চালু করবে বাংলাদেশে। দক্ষিণ এশিয়ার ভুটানে স্টারলিংকের মাধ্যমে ইন্টারনেট–সেবা নিতে পারছেন গ্রাহকেরা। ভুটানে রেসিডেনশিয়াল ফিক্সড ইন্টারনেটের জন্য খরচ পড়ে প্রতি মাসে ৪ হাজার ২০০ ভুটানিজ গুলট্রাম, যা বাংলাদেশি টাকায় ৫ হাজার ৮০০ টাকার মতো।