স্প্যাম মেইল ঠেকাতে যা করতে হবে
ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক কাজে আমরা প্রায় সবাই বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিয়মিত ই-মেইল আদান-প্রদান করে থাকি। কিন্তু ইনবক্সে প্রয়োজনীয় ই-মেইলের পাশাপাশি স্প্যাম বা অনাকাঙ্ক্ষিত ই-মেইল জমা হওয়ার কারণে প্রয়োজনের সময় দ্রুত নির্দিষ্ট ই-মেইল খুঁজে পাওয়া যায় না। জিমেইলে চাইলেই বেশ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে স্প্যাম ই-মেইল থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। জিমেইলে স্প্যাম ই-মেইল ঠেকানোর পদ্ধতিগুলো জেনে নেওয়া যাক—
স্প্যাম ই-মেইলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও নিবন্ধন বাতিল করা
সহজে স্প্যাম ই-মেইলের বিড়ম্বনা এড়াতে ইনবক্সে থাকা একাধিক স্প্যাম ই-মেইল একসঙ্গে নির্বাচন করে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি সেগুলোর নিবন্ধন বাতিল করতে হবে। এ জন্য প্রথমে জিমেইলে লগইন করে সব স্প্যাম ই-মেইল একসঙ্গে নির্বাচন করতে হবে। এরপর ওপরে থাকা আই আইকনে ক্লিক করলেই ‘রিপোর্ট স্প্যাম’ এবং ‘রিপোর্ট স্প্যাম অ্যান্ড আনসাবস্ক্রাইব’ অপশন দেখা যাবে। রিপোর্ট স্প্যাম অ্যান্ড আনসাবস্ক্রাইব অপশনে ক্লিক করলেই স্প্যাম ই-মেইলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি সেগুলোতে করা নিবন্ধনও বাতিল হয়ে যাবে।
স্প্যাম ই-মেইল শনাক্তে ফিল্টার ব্যবহার ও মুছে ফেলা
স্প্যাম ই-মেইল দ্রুত শনাক্তের পাশাপাশি সেগুলো মুছে ফেলার জন্য ফিল্টার ব্যবহার করা যায় জিমেইলে। এ জন্য প্রথমে জিমেইলের সার্চ বারে আনসাবস্ক্রাইব লিখে সার্চ করতে হবে। এরপর অপ্রয়োজনীয় সব ই-মেইল নির্বাচনের পর তিনটি ডট মেনুতে ক্লিক করে ফিল্টার মেসেজেস লাইক দিস অপশন নির্বাচন করতে হবে। এবার ক্রিয়েট ফিল্টার অপশনে ক্লিক করে ডিলিট ইট অপশন নির্বাচন করলেই ফিল্টার করা সব ই-মেইল মুছে যাবে।
বিকল্প ই-মেইল ঠিকানা ব্যবহার
বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার সময় নিজের প্রয়োজনীয় ই-মেইল ঠিকানা ব্যবহার করলে সেই ঠিকানায় তৃতীয় পক্ষের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে স্প্যাম ই-মেইল আসতে থাকে। তাই বিভিন্ন ওয়েবসাইটে নিজের বিকল্প ই-মেইল ঠিকানা ব্যবহার করতে হবে। এর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ই-মেইল ঠিকানায় স্প্যাম ই-মেইল আসার পরিমাণ কমে যাবে।